বাসে আগুন দিতে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশেষ বোমা
প্রকাশ: ৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩৭ | আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০
কেরানীগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসার পথে পুরান ঢাকার বাবুবাজার সেতুর ওপর দিশারী পরিবহনের একটি বাসের পেছনের সিটে ধোঁয়া উড়তে দেখেন যাত্রীরা। সিটের দিকে বোমাসদৃশ সন্দেহজনক বস্তু থেকে ধোঁয়া দেখতে পেয়ে দ্রুত সেতুর সিঁড়িতে নেমে যান যাত্রীরা। বাসের কন্ডাক্টর বিষয়টি লক্ষ করে যাত্রীবিহীন খালি গাড়িটি নয়াবাজার ঢালে পুলিশ চেকপোস্টের কাছাকাছি নিয়ে আসেন। কোতোয়ালি থানার ওসি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোম ডিসপোজাল ইউনিট, সিটিটিসি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। ঘটনাটি গত ৩০ নভেম্বরের।
সিটিটিসির বোম ডিসপোজাল ইউনিটের একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উক্ত বাসের সামনে থেকে পেছনের দিকে ষষ্ঠ সারির বসার সিটের নিচে থাকা একটি Time Initiated IED উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করে। IED-টি পর্যালোচনা করে কর্মকর্তারা দেখেন, এটি একটি Time Initiated IED। উদ্ধারকৃত আইইডিতে উচ্চ মাত্রার কোনো বিস্ফোরকের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। সময় নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি টেবিল ঘড়ি ব্যবহার করা হয়েছে, যা ব্যাটারি দ্বারা পরিচালিত এবং সেফটি সুইচ/আরমিং সুইচ হিসেবে ছোট সাইজের লাল-কালো রঙের রকার সুইচ ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়াও দুটি ইলেকট্রিক তার দিয়ে একটি দিয়াশলাইয়ের কাঠি মুড়িয়ে Improvised Detonator হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা ব্যাটারির সঙ্গে সংযুক্ত। যেহেতু কাগজের বাক্সটিতে দিয়াশলাই ব্যতীত অন্য কোনো উচ্চমাত্রার বিস্ফোরকের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি এবং একটি ছোট পেট্রোল ভর্তি পলিথিন ব্যাগ পাওয়া যায়। সেই হিসেবে অনুমান করা যায় যে, শুধু সময় নিয়ন্ত্রিত অগ্নিকাণ্ড ঘটানোর উদ্দেশ্যে এটি প্রস্তুত করা হয়েছে। সাধারণত জঙ্গি সংগঠন এ জাতীয় বোমা ব্যবহার করে থাকে।
আইইডি ট্রেন্ড বিশ্লেষণে দেখা যায়, উদ্ধারকৃত আইইডির সঙ্গে গত ২০ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় কদমতলী থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কদমতলী বাসট্যান্ড এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত আইইডির হুবহু মিল। সে কারণে একই সংগঠন কর্তৃক উক্ত আইইডিটি তৈরি হয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মতামত দিয়েছেন।
ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত