বায়ু দূষণ রোধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উদাসীন: সবুজ আন্দোলন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৪৮ |  আপডেট  : ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৯

শীতকালে বায়ু দূষণ বেড়ে যাওয়ার ফলে রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশের মানুষ ভোগান্তিতে আছে। তবে বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা সারা পৃথিবীর মধ্যে বায়ু দূষণে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বায়ু দূষণ রোধে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ দেশের জনগণ দেখতে পায়নি। একই ভাবে বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে উদাসীন। আজ ১ জানুয়ারি ২০২৫ ইং বুধবার বিকালে গুলশানের দ্য এম্পয়ার বে কনফারেন্স রুমে সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের উদ্যোগে “বায়ু দূষণ রোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ও বাৎসরিক কর্মপরিকল্পনা শীর্ষক মতবিনিময় সভা”র আয়োজন করা হয়। মত বিনিময় সভায় সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বায়ু দূষণ রোধে অন্তবর্তীকালীন সরকার উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম হাতে নেয়নি বলে মন্তব্য করেন।

তিনি আরো বলেন, রাজধানী ঢাকা শহরের বায়ুর মান নিম্নমুখী হওয়ার অন্যতম কারণ অপরিকল্পিত রাস্তাঘাটের সংস্কার ও ইমারত নির্মাণ। যার ফলে অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, সাইনোসাইটিস, ঠান্ডা জ্বর, কাশি বৃদ্ধি পেয়েছ। শহরের চারপাশ দিয়ে অবৈধ ইটভাটার কালো ধোঁয়া বায়ুদূষণ বৃদ্ধি করছে।

আলোচক হিসেবে প্রত্যাশার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সারা বাংলাদেশে বায়ু দূষণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে পাশাপাশি মানুষের কর্মক্ষমতা কমেছে। এভাবে চলতে থাকলে বিকলাঙ্গ জাতি হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে অবস্থান নিবে বাংলাদেশ। এ সময় বায়ুদূষণ রোধে সবুজ আন্দোলনের পক্ষ থেকে সাতটি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো—

১. রাজধানীর রাস্তা দিনে দুইবার ঝাড়ু এবং সপ্তাহে একবার পানি দিয়ে ধোয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
২. বাড়ি নির্মাণের জন্য বিল্ডিং কোড অনুসরণ এবং নির্মাণ সামগ্রী নিজ নিজ দায়িত্বে ভবনের মধ্যে রাখতে হবে।
৩. অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনে ব্যবসায়ীদের কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. ঢাকা শহরের চারপাশে নদীর নাব্য সংকট দূর করতে খননকাজ নিশ্চিত করতে হবে এবং সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে।
৫. নিয়মিত বায়ুদূষণ মনিটরিং করার জন্য আলাদা মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে বায়ুর মান নিরূপণ করে গণমাধ্যমের সহযোগিতায় জনস্বার্থে প্রকাশ করতে হবে।
৬. ঢাকা শহরের সব বিল্ডিংয়ের ছাদে কৃষি পণ্য ও গাছের টব, শপিংমলের সামনে গাছের টব রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং
৭. সব রকম দূষণ থেকে রাজধানীকে রক্ষার জন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্টেকহোল্ডার বডি সম্পৃক্ত করতে হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির মহাসচিব মহসিন সিকদার পাভেল। এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোরছালীন ইসলাম বাবু, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার মাহতাব হোসাইন মাজেদ, নারী পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিমু বেগম মায়া, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সেলিম রেজা হৃদয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক মোসাব্বির আলম, সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, আরেফিন আক্তার পায়েল, তৌসিফ ইসলাম, শাহিদুজ্জামান খান, ফারজানা আক্তার, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, তানজিলা সুলতানা, সঞ্চিতা প্রমূখ।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত