পঞ্চগড়ে প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকার দৃষ্টি নন্দন ব্রীজ নির্মাণ

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:১৮ | আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩:৫৬

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বেংহাড়ি ইউনিয়নের ভক্তের বাড়ি নামক এলাকায় একটি দৃষ্টিনন্দন ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। আট মাসের মাথায় এই দৃষ্টিনন্দন ব্রীজ নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
সড়ক বিভাগ(সওজ) পঞ্চগড় বিভাগ সূত্রে জানা যায়,কয়েক বছর আগে প্রবল বষর্ণে ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ার পর স্থানীয় প্রশাসন ও সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে যায়। তারা ভেঙে পড়া ব্রীজ পরিদর্শন শেষে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নেন বেইলী ব্রীজ নির্মাণে। এরপর বেইলী ব্রীজে চলাচল করে যানবাহন সহ এলাকার মানুষ। পরবর্তী সময় ২০২৪- ২৫ অর্থ বছরে দরপত্র আহ্বান করে সড়ক বিভাগ ( সওজ) পঞ্চগড় । প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকায় আহবানকৃত দরপত্র সম্পন্ন হয়। এরপর কাজ পাওয়া নির্মান প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয় দেওয়া হয়।
এরপর ওই অর্থ বছরের নভেম্বরের দিকে ব্রীজটির কাজ শুরু হয়। ৪৭ মিটারের বৃহৎ ব্রীজটিতে এলসির আমদানী করা উন্নত মানের পাথর পাথর, ব্রান্েিডৗ সিমেন্ট ও রড সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়। এরপর প্রকৌশলীদের কঠোর কঠোরতম নজরদারিতে কাজ চলতে থাকে। শিডিউলে উল্লেখিত সকল প্রক্রিয়া অনুসরন করা হয়। স্থানীয়দের অনেকেই জানান, আমরা কাজ থেকে দেখেছি ইঞ্জিনিয়াররা সব সময় কাজ দেখাশোনা করতো। আমরা এমন ভালো মানের কাজ আগে দেখিনি। আমরা তাই কখনো কারো কাছে কিছুই বলিনি। সাংবাদিকরাও আসতো ' তারাও কাজ দেখে খুশি ছিল।
পঞ্চগড় সড়ক ( সওজ) বিভাগে খোজ নিয়ে জানা যায়, নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ সহ কয়েকজন প্রকৌশলী প্রতিদিন নিয়মিত কাজটি দেখাশোনা করতো। জিওবির অর্থায়নে ব্রীজটি নির্মাণে এলাকার জনগনের কাঙ্খিত অকাঙ্খাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন তারা । কোন রকম অবহেলা ছিলনা ব্রীজটি নির্মাণে। ব্রীজটি খুলে দেওয়া হয় গেল জুন মাসে বলে জানা যায়।
পঞ্চগড়ের অজপাড়ায় এখন মানুষের কাছে এক দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে ব্রীজটি। এলাকার লোকজন ব্রীজটিতে গিয়ে তার নির্মাণ শৈল্পিক সৌন্দর্য অবলক্ষণ করে। ভক্তের বাড়ি নামক এলাকায় নির্মিত ব্রীজটি বদলে দিয়েছে এলাকার চিত্র। ব্রীজের এ্যাপ্রোজ সড়ক ও ব্রীজের নকশা তৈরিকে স্থানীয়রা প্রকৌশলীদের দক্ষতার প্রশংসা করেছেন।
পঞ্চগড় - চিনিকল হয়ে দেবীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক পথে চলাচলকারীদের অনেকেই একটু থেমে বা গাড়ি দাঁড় করিয়ে ব্রীজটি দেখেন। অনেকেই আবার সেলফি সহ নানা আঙ্গিকে ছবিও তোলেন। চলাচলকারী অনার্স পড়ুয়া পিয়ান নামে এক যুবক বলেন, ব্রীজটি দেখতে বেশ সুন্দর হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে এমন ব্রীজ তেমনটা চোখে পড়েনা। ওই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব আলী বলেন, ব্রীজটি হওয়ায় আমাদের এলাকার মানুষের জন্য উপকার হয়েছে। আগের ব্রীজটি সাইজে ছোটো ছিল' ফলে ভারীবর্ষন ও স্রোতে এ্যাপ্রোচ সড়ক ঝুঁকিতে ছিল এবং সে কারনে ভেঙে পড়েছিল ব্রীজটি। তবে এই ব্রীজটি সাইজে অনেক বড়। ইনশাআল্লাহ আর সমস্যা হবে না।'
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত