কাবাডি বিশ্বকাপ-২০২৫ এর ট্রফি উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:০৩ |  আপডেট  : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১:১২

দ্বিতীয় নারী কাবাডি বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক ট্রফি উন্মোচন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (১৬ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তিনি অংশগ্রহণকারী সব দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ট্রফিটি উন্মোচন করেন।

এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যতম বহুল প্রতীক্ষিত নারী কাবাডি প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো, যা একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক কাবাডি অঙ্গনকে স্বাগত জানানোর জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতিও তুলে ধরে। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার রোববার বিকেলে এ তথ্য জানান।

বাংলাদেশ এবারই প্রথম নারী কাবাডি বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। আগামী ১৭ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে এই প্রতিযোগিতা হবে। ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠান শুধু বিশ্বকাপকে সামনে আনার উৎসবই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নারী খেলাধুলার উন্নয়নে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান নেতৃত্বও তুলে ধরেছে।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে অধ্যাপক ইউনূস ঢাকায় বিশ্বকাপ আয়োজনের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অনুপ্রেরণাদায়ক ও বিশ্বমানের টুর্নামেন্ট নিশ্চিত করতে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি আগত সব দলকে স্বাগত জানান এবং আয়োজক, খেলোয়াড় ও অংশীদারদের কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেন, যারা এই চ্যাম্পিয়নশিপকে সফল করতে কাজ করছেন।

২০২৫ সালের নারী কাবাডি বিশ্বকাপে শীর্ষ জাতীয় দলগুলো অংশ নেবে এবং টুর্নামেন্টজুড়ে আট দিন ধরে চলবে প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বৈশ্বিক ক্রীড়া বন্ধুত্বের উৎসব।

বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের আয়োজকরা জানিয়েছেন, লজিস্টিক্স, নিরাপত্তা, দলীয় আবাসন এবং দর্শক অংশগ্রহণসহ সব ধরনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে দ্রুত এগিয়ে চলছে।

১৭ নভেম্বর টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে এবং প্রতিদিন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ২৪ নভেম্বর ফাইনালের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপের সমাপ্তি হবে।অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো: বাংলাদেশ, চীনা তাইপে, জার্মানি, ইরান, ভারত, কেনিয়া, নেপাল, পোল্যান্ড, থাইল্যান্ড, উগান্ডা এবং জানজিবার।

অনুষ্ঠানে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, সরকার সক্রিয়ভাবে নারী ক্রীড়াবিদদের এগিয়ে নিতে কাজ করছে এবং প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলায় তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের নারী ক্রীড়াবিদরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ধারাবাহিকভাবে প্রতিভার প্রমাণ দিচ্ছেন এবং তাদের উৎকর্ষ সাধনে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, নারী ক্রীড়াবিদদের সাফল্য জাতীয় গর্বের বিষয় এবং এটি নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত