২১ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকায় গ্যাস সংকটের শঙ্কা

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৩৬ |  আপডেট  : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৩৬

সামিটের এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের সংস্কারের জন্য গ্যাসের ঘাটতি সৃষ্টির শঙ্কা করছে জ্বালানি বিভাগ। পেট্রোবাংলা ও তিতাস প্রায় ১০ দিন গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকবে বলে জানিয়েছে। বলা হচ্ছে, ১২ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকবে। আবাসিক ছাড়াও সিএনজি, শিল্প ও বাণিজ্যেও এই ঘাটতি হতে পারে।

তিতাস বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে  জানায়, ‘কারিগরি কারণে আগামী ১২ থেকে ২১ জানুয়ারি তিতাস অধিভুক্ত এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করতে পারে। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

সূত্র বলছে, শেভরন বাংলাদেশ পরিচালিত গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানা সংস্কারে গেছে। এতে প্রতিদিন অন্তত ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হতে পারবে না। এছাড়া সামিটের এলএনজি টার্মিনালের মুরিং ছিঁড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন ঘাটতি রয়েছে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এতে দৈনিক গ্যাস ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বুধবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জানান, আমরা মনে করেছিলাম, বুধবার থেকে সংকট শুরু হবে। কিন্তু বিষয়টি সেভাবে টের পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার থেকে গ্যাস ঘাটতি হতে পারে। তবে এর মধ্যে কয়েকটি কূপের ওয়ার্কওভার শেষ হওয়ার কথা। এটি হয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তিনি জানান, বিবিয়ানার কারণে ৫০ এবং সামিটের এলএনজি টার্মিনালের কারণে আরও ৪৫০ অর্থাৎ সবে মিলিয়ে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুটের ঘাটতি হবে।

গত ১৮ নভেম্বর সামিটের এলএনজি টার্মিনালের মুরিং ছিঁড়ে যায়। এতে টার্মিনালটিতে কোনও এলএনজিবাহী কার্গো ভিড়তে পারছে না।

মহেশখালীর দুটি ভাসমান টার্মিনাল দিয়ে দিনে একশ’ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব। বছরের কোনও কোনও সময় দিনে ৯০ কোটি ঘনফুট গ্যাসও সরবরাহ করা হয়। শীতে পাইপলাইনের ভেতর পানি জমায় গ্যাসের সংকট দেখা দেয়। এ ছাড়া তাপমাত্রা কমে যাওয়ায়ও এই সমস্যা দেখা দেয়। এখনও শীত জেঁকে না বসায় ঘাটতিটা চোখে পড়ছে না। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ জানুয়ারির আগে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। মুরিংটি ঠিক করতে এ সময়টুকু লাগবে বলে জানানো হয়েছে।

গ্যাস না থাকলে ঢাকার পরিস্থিতি কী হবে জানতে চাইলে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লা বলেন, ‘নভেম্বর মাসেই সামিটের এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে সেটি মেরামত হলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি। এছাড়া বিবিয়ানার মেনটেন্যান্স শুরু হওয়ায় আরও কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আমরা দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। তিনি জানান, তিতাসের অধীন এলাকায় এই স্বল্প চাপ হবে। নির্দিষ্ট করে কোনও এলাকা বলা যাচ্ছে না। সব এলাকায় ঘাটতি হতে পারে বলে তিনি জানান।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত