১০৪ শিশুর পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ
প্রকাশ: ২ জুন ২০২২, ১৫:৩৯ | আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫
১৯৯১ সালে ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ এবং ২০০৯ সালে রিড ফার্মার প্যারাসিটামল সেবন করে যথাক্রমে ৭৬ ও ২৮ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় তাদের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে এই ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ, এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া সঞ্জয় মণ্ডল ও সৈয়দা শাহিন আরা লাইলি। অন্যদিকে বিবাদীপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
ওই রায়ে আদালত পাঁচ দফা নির্দেশনায় বলেন, এক. ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের নিস্ক্রিয়তা অবৈধ। দুই. ভেজাল ওষুধের অপরাধের ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (১) ধারা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিন. মৃত ১০৪ জন শিশুর পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। চার. সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/কোম্পানি থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করবে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। এবং পাঁচ. ভেজাল ওষুধের কারণে শিশু মৃত্যুর দায় এড়াতে পারে না অধিদফতর।
এর আগে ১৯৯১ ও ২০০৯ সালে রিড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে সারাদেশে প্রায় ১০৪ শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পক্ষ থেকে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর পাঁচ জনকে খালাস দেন বিচারিক আদালত।
ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারিক আদালত বলেছিলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর মামলাটি করার ক্ষেত্রে ১৯৮০ সালের ড্রাগ আইন যথাযথভাবে অনুসরণ করেনি। মামলায় যথাযথভাবে আলামত জব্দ করা, তা রাসায়নিক পরীক্ষাগারে প্রেরণ এবং রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন আসামিদের দেওয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রে ড্রাগ আইনের ২৩, ২৫ ধারা প্রতিপালন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তৎকালীন ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল ইসলাম ও আলতাফ হোসেন চরম অবহেলা, অযোগ্যতা ও অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
এরপর ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব আদালতে হাজির হয়ে ওই দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার তথ্য দেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত