সোশ্যাল মিডিয়া এখন সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে: আইনমন্ত্রী
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩:০৩ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৭
সোশ্যাল মিডিয়া এখন সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রসারের কারণে এখন সবাই সাংবাদিক হয়ে গেছেন। সবাই সাংবাদিক হয়ে যাওয়ার কারণে প্রকৃত সাংবাদিকরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। যারা পড়ালেখা করে, কাজ করে এই পেশায় আছেন; তারা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের কারণে কোণঠাসা অবস্থায়। আপনারা যারা লেখাপড়া করে সাংবাদিক হয়েছেন, তারা মানসিকভাবে নিজেকে যেভাবে তৈরি করেছেন। কিন্তু ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ঘরের মধ্যে বসেই সাংবাদিকতা করছেন। এই যে পার্থক্য, এই পার্থক্যের জন্য আপনাদের লড়াই করে বেঁচে থাকতে হবে।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারাই কিন্তু আসল সাংবাদিকতা করার জন্য শিক্ষিত-প্রশিক্ষিত। এ জন্য আপনাদের যে জায়গা তথা পেশাদারিত্বের জায়গাটায় যেন অ্যামেচারিজম না আসে, সেদিকে সজাগ করতে হবে। সেই দায়িত্বও আপনাদের। সেই জায়গায় সরকার আপনাদের সব রকম সহায়তা করবে।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে দিয়েছেন জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী নির্বাচন কমিশন গঠ করা হবে।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিতর্ক করার সুযোগ নেই মন্তব্য করে আনিসুল হক বলেন, এটি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব। উনি এ বিষয়ে যে নির্দেশনা দেবেন সেই অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। সেই কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে।
নির্বাচন কমিশন আইন নিয়ে তিনি বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি যেহেতু এই নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে যেহেতু সংসদে আইন পাশ করা সম্ভব হবে না। তাই আমার মনে হয় যে পদ্ধতিতে আগের কমিশন গঠিত হয়েছিল এবারও সেভাবেই হওয়া উচিত।
‘কারা নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। এখানে কিন্তু রাজনৈতিক ব্যক্তি নেই। সার্চ কমিটিতে যে ছয়জন থাকবেন তাদের মধ্যে আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান, কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল। এই চারজন সাংবিধানিক পোস্ট হোল্ডার বাকি দুজন সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি। এখানে কিন্তু রাজনৈতিক দলের কেউ নেই, সরকারি দলের কেউ নেই। সার্চ কমিটি ১০ জন ব্যক্তিকে বাছাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। এই সার্চ কমিটির কাছে সব রাজনৈতিক দলের নাম দেওয়ার সুযোগ আছে। তাই নির্বাচন কমিশন গঠনে পক্ষপাতিত্বের সুযোগ নেই।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত