সাড়ে ৮ বছর পর নির্দোষ প্রমাণ হলেন উপসচিব কামরুল ইসলাম
প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৩ | আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৯
দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট দাখিল হওয়ায় ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন তৎকালীন উপসচিব মো. কামরুল আলম। এরপর ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে সেই মামলা থেকে কামরুল আলম খালাস পেয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কামরুল আলমের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে বরখাস্ত শুরুর তারিখ অর্থাৎ ১২-০২-২০১৫ থেকে ৩০-১২-২০২৩ তারিখ পর্যন্ত সময়কে কর্মকাল হিসেবে গণ্য করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তিনি বিধি অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্তকালের বেতন ও ভাতা পাবেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে জানানো হয়, উপসচিব মো. কামরুল আলমকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলায় কর্মরত থাকাকালে তার বিরুদ্ধে সদর থানায় ২২-০৪-২০১৩ তারিখে দায়ের করা ২১ নম্বর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দণ্ডবিধির ১৬১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় বিজ্ঞ আদালতে সুনামগঞ্জ সদর থানার ১৩-০৮-২০১৪ তারিখের চার্জশিট নম্বর-১৩৪ দাখিল হওয়ায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১২-০২-২০১৫ তারিখের প্রজ্ঞাপনে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন উপসচিব মো. কামরুল আলমকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৮-১২-২০২৩ তারিখের প্রজ্ঞাপনে ৩১-১২-২০২৩ থেকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়।
বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত, সিলেট থেকে গত ১২-১১-২০২৩ তারিখে দেওয়া রায়ে বর্ণিত মামলা থেকে অবসরপ্রাপ্ত উপসচিব মো. কামরুল আলমকে খালাস দেওয়া হয়েছে এবং দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে এ খালাস আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল দায়ের না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সেজন্য সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা ৩৯ (৩) এবং বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস, পার্ট-১ এর বিধি-৭২ অনুযায়ী অবসরপ্রাপ্ত উপসচিব কামরুল আলমের সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে বরখাস্ত শুরুর তারিখ অর্থাৎ ১২-০২-২০১৫ থেকে ৩০-১২-২০২৩ তারিখ পর্যন্ত সময়কে কর্মকাল হিসেবে গণ্য করা হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্তকালের বেতন ও ভাতাদি প্রাপ্য হবেন।
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত