সাজার বিরুদ্ধে আদিলুর-এলানের আপিল, হাইকোর্টে জামিনের আবেদন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:৩৫ |  আপডেট  : ১৫ মে ২০২৪, ০৩:৪৯

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের পাশাপাশি জামিন চেয়েছেন মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলান।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি দাখিল করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদিলুর-এলানের আইনজীবী মো. রুহুল আমিন ভুঁইয়া। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিম্ন আদালতের রায়ে আদিলুর রহমান খানকে প্রথম শ্রেণির ডিভিশন সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তবে এখনো সে সুবিধা দেওয়া হয়নি।’

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারার এই মামলায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনকে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে রায় দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত। সেই সঙ্গে আসামিদের ১০ হাজার টাকা করেও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। ওইদিন রায় ঘোষণার পর আদিলুর রহমান খান ও এ এস এম নাসির উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান নিয়ে ২০১৩ সালের ১০ জুন মানবাধিকার সংস্থা অধিকার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে শাপলা চত্বরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে ৬১ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান নিয়ে অসত্য ও বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগে আদিলুর রহমান খান ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

মামলায় পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, আদিলুর ও নাসির উদ্দিন ৬১ জনের মৃত্যুর ‘বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা’ তথ্যসংবলিত প্রতিবেদন তৈরি ও প্রচার করে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেন, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অপচেষ্টা চালান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে চরমভাবে ক্ষুণ্ণ করেন। পাশাপাশি তাঁরা মুসলমানদের মনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি করেন, যা তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭(১) ও (২) ধারায় অপরাধ।

পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আদিলুর রহমান খান ও এ এস এম নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। তবে উচ্চ আদালতে আসামিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তিন বছরের জন্য পরবর্তীতে স্থগিত থাকে বিচারকাজ। পরে ফের ২০১৭ সাল থেকে আলোচিত এই মামলার শুনানি শুরু হয়।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত