মাহবুব তালুকদার এজেন্ডা বাস্তবায়নে মিথ্যাচার করেন: সিইসি
প্রকাশ: ৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৪:১১ | আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:২৮
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার মিথ্যাচার করেন। তিনি এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ইসি নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথা বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ভোটার তালিকায় পরিচয়হীনদের পিতা-মাতার নাম লিপিবদ্ধকরণে জটিলতা নিরসনে করণীয় বিষয় কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল বুধবার (৫ জানুয়ারি) পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) পর্যবেক্ষণ শেষে মাহবুব তালুকদার বলেছিলেন, ভোটযুদ্ধে যুদ্ধ আছে, ভোট নেই।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রয়া জানতে চাইলে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, উনি তো এরকম কথা সবসময় বলেন। একেক সময় একেক শব্দ চয়ন করেন মিডিয়ায় প্রচার করার জন্য। উনি এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বলেন। হয়তো উনার কোনো এজেন্ডা আছে, সেটাই বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন কমিশনকে হেয় করার জন্য এসব কথা বারবার বলেন।
মাহবুব তালুকদারের কথাগুলো অপ্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে কে এম নুরুল হুদা বলেন, এগুলো অপপ্রচারমূলক কথা, নির্বাচন কমিশনকে অপবাদ দেওয়ার কথা। এই কথাটা মিথ্যাচার, অপ্রাসঙ্গিক অপবাদ। উনি মিথ্যা কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ভোটযুদ্ধ আছে ভোট নেই, তাহলে ৭৫ শতাংশ ভোটার কোথা থেকে আসলো? আপনারা টেলিভিশনে দেখিয়েছেন সারিবদ্ধভাবে নারী-পুরুষ দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন। তাহলে এরা কারা? এরা কি ভোটার নন? সুতরাং উনার কথার কোনো সঙ্গতি নেই।
এ সময় কে এম নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা হয় কমিশনের দুর্বলতার কারণে না বরং প্রার্থী ও সমর্থকদের দ্বন্দ্বের কারণে। নির্বাচন হবে প্রতিযোগিতামূলক, প্রতিহিংসামূলক না।
এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের মন্তব্যের জবাবে সিইসি জানান, গণমাধ্যমে নিজের কথা প্রচারের জন্য মিথ্যাচার করছেন। মিডিয়াতে নিজের কথা প্রচারের জন্য উনি বলেন। তিনি আসলে কমিশনকে হেয় করার অপচেষ্টা করেন।
এ সময় পিতা-মাতার পরিচয়হীন মানুষদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটাধিকারে অন্তর্ভুক্ত করতে হলে, আইনি কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে, যা সহজ নয় বলেও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
বুধবার পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচন শেষ হয় সহিংসতা ও হানাহানির মধ্য দিয়ে। দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনি সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন। চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫০ জন। পঞ্চম ধাপে নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় ও ভোট পরবর্তী সংঘর্ষে বগুড়ায় ৫জন, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, মানিকগঞ্জ, নওগাঁ ও গাইবান্ধায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে, চারটি ধাপে নির্বাচনি সহিংসতায় ৮৬ জনের মৃত্যু হয়। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে। ওই ধাপেই নিহত হন ৩০ জন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত