মাদারীপুরে রিক্সা ছাড়াও চলছে অন্যান্য ছোট যানবাহন: নৌরুটে আজও যাত্রীর চাপ
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২১, ১৬:৫৮ | আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:৫৪
সরকারের নতুন প্রজ্ঞাপনে রিক্সা, পণ্যবাহী যানবাহন ও জরুরী সেবার যানবাহন ছাড়া সকল ধরণের যানবাহন বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু মাদারীপুরে এখনও মানা হচ্ছে না এ নির্দেশনা। মাঠে নেই প্রশাসন।
জেলার সড়কগুলোতে রিক্সার পাশাপাশি মোটরসাইকেল, থ্রিহুইলার, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন ছোট যানবাহন যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। সকালে শহর ঘুরে দেখা গেছে এখনও মাঠে নামেনি পুলিশ বা প্রশাসনের কেউ। মহা-সড়ক, আ লিক সড়ক ও শহরের প্রধান সড়ক যান চলাচলের জন্য খোলা থাকলেও শহর ও গ্রামে প্রবেশ করার বেশিরভাগ সড়ক বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে আটকে দিয়েছে প্রশাসন।
অপরদিকে সোমবার সকাল থেকে শিমুলীয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে দক্ষিনা লমুখী যাত্রী চাপ শুরু হয়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে মহাসড়ক ও অভ্যন্তরিন সড়কগুলোতে বেরিকেড দিয়ে প্রশাসনের কঠোর তৎপরতার কারনে ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ গত কয়েকদিনের চেয়ে আজ কিছুটা কম। যাত্রী চাপ কম থাকায় ফেরিতে পন্যবাহী ও জরুরী গাড়ি পারাপারে বিলম্ব হচ্ছে না। তবে দূর পাল্লার বাস বন্ধ থাকায় এদিনও যাত্রীরা মোটরসাইকেল, থ্রী হুইলার, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন হালকা যানবাহনে ৩-৪ গুন ভাড়া দিয়ে শিমুলীয়া ঘাটে এসে এদিনও ফেরিতে গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দেন। বাংলাবাজার ঘাটে এসেও যাত্রীরা আবারও ভোগান্তিতে পড়েন। দূর পাল্লার বাস বন্ধ থাকায় বাংলাবাজার ঘাট থেকে ইজিবাইক, সিএনজি, মোটরসাইকেলে বরিশালে ৫ শ থেকে ৬ শ টাকা, গোপালগঞ্জ ৫শ টাকা, খুলনা ৭ শ টাকা, মাদারীপুর ২শ টাকা,বাগেরহাট ৬শ৫০ টাকাসহ প্রতিটি যানবাহনেই কয়েকগুন ভাড়া আদায় করা হয় যাত্রীদের কাছ থেকে। এদিনও ঘাট এলাকা বা ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন লক্ষনই দেখা যায়নি। এরুটে এদিন ১৬ টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ম্যানেজার মো: সালাউদ্দিন মিয়া জানান, পণ্যবাহী ট্রাকের সাথে সাথে অন্যান্য ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ১৬ টি ফেরি চালু রয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় মাদারীপুরে নতুন শনাক্ত হয়েছেন মাদারীপুর সদর উপজেলায় ৭ জন,রাজৈর উপজেলায় ১৪ জন,শিবচর উপজেলায় ৬ জন এবং রাজৈর উপজেলায় ১৪ জন।
১১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় । সনাক্তের হার ২৮.৬৯%। জেলায় মোট করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭শ’ ৮১ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ২শ ৮৭ জন,কালকিনি উপজেলায় ৩শ ৯৮ জন,রাজৈর উপজেলায় ৭০ জন এবং শিবচর উপজেলায় ৩শ ৯৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩শ’ ৬৫জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩শ’ ৮৫ জন। এর মধ্যে হাসপাতালের আইসোলেশনে ১২ জন এবং বাসায় বসে চিকিৎসা নিচ্ছে ৩ শ ৭৩ জন। জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩১ জন।
মাদারীপুরে করোনা বাড়লেও হাসপাতালগুলোতে এখনও কোন চাপ তৈরি হয় নি। শনাক্ত হওয়া বেশীরভাগ করোনা রোগীই বাড়িতে বসেই নিচ্ছেন চিকিৎসা। তবে এখনই যদি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মানুষে চলাচল বন্ধ করা না যায় তাহলে মাদারীপুর জেলায়ও করোনা রোগির ভয়াবহ রুপ নিতে পাড়ে। তখন হাসপাতালগুলোতেও সামলানো যাবেনা করোনা রোগির চাপ। মৃত্যুপুরিতে পরিণত হবে মাদারীপুর জেলা।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত