আদমদীঘিতে পৌষের শীতে কদর বেড়েছে লেপ তোষক কারিগরদের
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:০৩ | আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৪
বেশ কিছুদিন যাবত কনকনে শীতের চাদরে ঢেকে গেছে সারাদেশ। শীতকালে একটু বেশী যত্ম নিতে শরীরের সাথে চাহিদা বাড়ে গরম কাপড়ের। শহর অঞ্চলে শীতের প্রকোপ কিছুটা কম হলেও গ্রামগঞ্জে শীতের তীব্রতা একটু বেশী। সারা বছর যেমনই যাক না কেন শীতকালে একটু বেশী কদর বাড়ে গরম কাপড় আর লেপ তোষকের। কম্বলের পাশাপাশি আদি আমল থেকে শীত বলতে লেপ মুড়িয়ে ঘুমানো। আর এসব সামগ্রী তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার লেপ তোষক তৈরির কারিগররা। পৌষ মাসে শীত বাড়ার সাথে সাথে লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। কেউ নগদ টাকায় আগে থেকে তৈরিকৃত লেপ তোষক কিনছেন আবার কেউ বানানোর জন্য অর্ডার দিচ্ছেন। এছাড়া কেউ কেউ পুরোনো লেপ-তোষক ঠিকঠাক করিয়ে নিচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শীত নিবারণের জন্য উপজেলার বিভিন্ন লেপ তোষক দোকানের সামনে ভিড় করছেন ক্রেতারা। লেপ তোষক কারিগররাও এসব তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলা সদরে, চাঁপাপুর, কুন্দগ্রাম, সান্তাহার সহ বিভিন্ন বাজারের লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় জমেছে। দোকানিরা ক্রেতাদের বিভিন্ন মানের কাপড় ও তুলা দেখাচ্ছেন, নিচ্ছেন অর্ডার। কারিগররা তাদের নিপুণ হাতে সুঁই সুতো নিয়ে করছেন কাজ, তৈরি করছেন বিভিন্ন সাইজের লেপ-তোষক। এ বছর বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেপ-তোষক তৈরির উপকরণের খরচও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার বিভিন্ন বাজারে লেপ-তোষক তৈরীর দোকানগুলোতে দেখা যায়, মালিক-শ্রমিক লেপ-তোষক তৈরীর সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা জানান, শীত মৌসুমের শুরুতেই ক্রেতারা দোকানে লেপ-তোষক তৈরীর অর্ডার দেয়া শুরু করেছেন। এবছর তুলার দাম বেড়ে গেছে। ভাল মানের তুলা দিয়ে বানাতে লেপের খরচ পড়ে প্রায় ১৫০০-১৬০০ টাকা, তার উন্নতমানের লেপ তৈরী করতে খরচ পড়ে প্রায় ১৯০০-২০০০ টাকা। তবে কেউ কেউ বলছেন, এবার তুলার দাম বেশি। শীতের তীব্রতা যদি আরও বাড়ে লেপ-তোষক তৈরি ও বিক্রি আরও বাড়বে এমনটিই প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।
উপজেলার লেপ তোষক ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন জানান, প্রতিটি ৪-৫ হাত লেপ-তোষক বানাতে ৪’শ টাকা মজুরি হিসেবে নেয়া হয়। সিঙ্গেল লেপ তৈরীতে খরচ পড়ে ৩’শ টাকা। একজন কারিগর ভালো করে তৈরী করলে দিনে ২টি লেপ তৈরী করতে পারে।
আদমদীঘি বাজারের মেহেদী বেডিং ষ্টোর স্বত্বাধিকারী রুবেল হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় এবার লেপ-তোষক তৈরির জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি। পাশাপাশি কাপড়ের দামও বেড়েছে প্রতি গজে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আমার দোকানে প্রতিদিন ৮থেকে ১০টি লেপের অর্ডার পাচ্ছি।
উপজেলার মুরইল বাজারের তানিয়া বেডিং ষ্টোরের প্রোপাইটর তারিকুল ইসলাম জানান, এখন আমাদের লেপ-তোষক তৈরিতে সময় যাচ্ছে। আগামীতে শীত যত বেশি হবে ততই আমাদের বেচা বিক্রিও বেড়ে যায়।
লেপ ক্রয় করতে আসা উপজেলা সদরের জিনইর গ্রামের হোসনে আরা বেগম জানায়, বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ায় এবার লেপ-তোষক তৈরির খরচও বেড়েছে। নতুন একটি লেপ তৈরি করতে মজুরি-সহ আমার ১হাজার ৮০০ টাকা খরচ হয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত