বিএনপিপন্থী মুক্তিযোদ্ধারা ‘ফ্রিডম ফাইটার বাই অ্যাকসিডেন্ট : ওবায়দুল কাদের
প্রকাশ: ৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৮ | আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:১৯
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দলটির জন্য ‘অভিশাপ’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সে (তারেক) যত দিন বিএনপির নেতৃত্বে থাকবে ততদিন বিএনপি সঠিক পথে আসবে না। দলটি ভুলের চোরাবালিতেই আটকে থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস পালনের প্রস্তুতি ও খুলনা বিভাগীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহর সভাপতিত্বে মতবিনিময় এই সভায় উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এমএম কামাল হোসেনসহ অনেকে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, লন্ডন থেকে যার হুকুমে বিএনপি চলে তার ফ্রি স্টাইল নেতৃত্ব এখন বিএনপি নেতাদের মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তারা বুঝতে শুরু করেছেন তারেক রহমান যতদিন নেতৃত্বে আছে ততদিন বিএনপি ভুলের চোরাবালিতে আটকে আছে। এখান থেকে তারা আর বের হতে পারবে না।
আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, রাজনীতি করবে রিমোট কন্ট্রোলে, এটা কি হয়। সাহস থাকলে দেশে আসুন, রাজনীতি করুন। জেলে যাওয়ার সাহস রাখুন। লন্ডন থেকে ডাকে আর কেউ সাড়া দিক জনগণ সাড়া দেবে না। আজকে বিএনপি নেতারাও এই আন্দোলনের ডাককে ভুয়া বলে। এই বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ। ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েও ব্যর্থ। বিএনপি নেতাদের শোবার ঘরে, রান্নাঘরে ভারতীয় পণ্য। তথাকথিত এই ডাক ভাঁওতাবাজি। ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন দিশেহারা।
আওয়ামী লীগ একমাত্র দল যারা দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা করে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নিজেদের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা নেই। যাদের নিজের ঘরেই গণতন্ত্র নেই তারা দেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে কোন মুখে? গণতন্ত্রের হত্যাকারীরা গণতন্ত্রের নামে মায়া কান্না করে। শুনেও হাসি পায়, বিএনপি এখন গণতন্ত্রের কথা বলে।
কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল কথায় কথায় চোখের জল ফেলেন। ৮০% নেতাকর্মী নাকি নির্যাতন ও জেলে বন্দি। বলেন, কোন কারাগারে তারা বন্দি আছে? আমির খসরু, মির্জা আব্বাস সবাই তো একে একে বাইরে। তালিকাটা প্রকাশ করুন। আর মিথ্যাচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করবেন না।
বিএনপিপন্থী মুক্তিযোদ্ধারা ‘ফ্রিডম ফাইটার বাই অ্যাকসিডেন্ট’ বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, এরা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। আজকে ইতিহাসের সত্যকে জানতে হবে। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে তারা মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করে গণহত্যা নিয়ে কোনো কথা বলেনি। আজকে তারা এখনো স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার মেন্ডেট জনগণ থেকে পেয়েছিলেন শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু। সত্তরের নির্বাচনে একাত্তরের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার বৈধ মেন্ডেট কেবল বঙ্গবন্ধুই পেয়েছিলেন। কাজেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার অধিকার অন্য কারো ছিল না। ১৭ এপ্রিল বিএনপিসহ বড় বড় দলগুলোর কোনো অনুষ্ঠানমালা আছে এমনটা জানা নেই। আমরা তা পালন করবো। এটা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের চেতনা। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের চেতনাকে আওয়ামী লীগ ধারণ করবে।
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত