পরীমণির মাদক মামলা চলবে কি না, রায় ২২ ফেব্রুয়ারি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৫ |  আপডেট  : ১৭ মে ২০২৪, ১৬:৫৩

রাজধানীর বনানী থানায় চিত্রনায়িকা পরীমণি ওরফে শামসুন্নাহার স্মৃতির নামে দায়ের করা মাদক মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুলের রায়ের জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

২০২১ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট র‍্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় দায়ের করেন৷ তদন্ত শেষে গত বছরের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি আদালত পরীমণিসহ তিন আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। 

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরীমণির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমণির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। ওই লাইসেন্সের মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে গেছে। পরীমণি এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমণি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।  ১২ অক্টোবর ঢাকার মহানগর হাকিম আদালত থেকে বনানী থানায় মাদক আইনে করা মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।  পরীমনিকে গ্রেপ্তারের পর বার বার রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে রুল দেন হাইকোর্ট।

গত ২০২১ সালের ৩১ অগাস্ট বিচারিক আদালত পরীমনিকে জামিন দেন। পরদিন তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ছাড়া পান। পরে একই বছরের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমণিসহ তিনজনের নামে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআর শাখায় চার্জশিট জমা দেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।

২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম তিনজনের অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। বিচার শুরু হওয়া অপর দুই আসামি হলেন- পরীমণির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. কবীর হাওলাদার।

পরে মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমণি। গত বছরের ১ মার্চ আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পাশাপাশি মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। 

বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ধার্য করে আদালত। এ দিন পরীমণির পক্ষে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী আদালতে হাজিরা দেন এবং মামলাটি উচ্চ আদালতে স্থগিতাদেশ শুনানি শেষে আদেশ না হওয়া পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য  ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। পরবর্তীতে  মাদক মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুলের রায়ের জন্য  ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।

 

সা/ই

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত