পঞ্চগড়ে মোটর সাইকেলের কাগজপত্র দেখতে গিয়ে মারধরের অভিযোগ, দু ঘণ্টা সড়ক অবরোধ 

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৫ |  আপডেট  : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৫৫

পঞ্চগড়ে চেকপোস্টে কাগজপত্র যাচাই করার সময় মোটরসাইকেল আরোহীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সদর থানা পুলিশের এক সদস্যর বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিকেল পৌঁনে ৬ টার দিকে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকার করতোয়া সেতুর উত্তর পূর্ব প্রবেশ মুখে এঘটনাটি ঘটে। পরে ওই মোটরসাইকেল আরোহীর বন্ধুবান্ধব সহ স্বজনেরা বিষয়টি জানতে পেরে শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় জড়ো হয়। পরে তারা পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কে বসে পড়ে ওই পুলিশ সদস্যর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে  বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের দুই ধারে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। বিপাকে পড়ে ইফতারের পূর্ব মুর্হূতে ঘরে ফেরা লোকজন। সড়কেই ইফতার করতে হয় ঘরে ফেরা শত শত মানুষ জনকে।

বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পঞ্চগড় জেলা শহরের বিষ্ণু প্রসাদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৫ ব্যাচের ছাত্রদের নিয়ে এক ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এসময় ওই ব্যাচের শাবাব সহ তিনজন বন্ধু ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পরে তারা জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় আসলে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ মোটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য তাদের গতিরোধ করে। পরে একই সময়ে আরো একজন মোটরসাইকেল আরোহী এলে তারও মোটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য গতিরোধ করে পুলিশ। তবে ওই ব্যাক্তি পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে চলে যেতে শুরু করলে তাকে ধরার জন্য শাবাব সহ তিনজন বন্ধুর মোটরসাইকেল চায় পুলিশ। পরে এনিয়ে তাদের মাঝে বাকবিত-া শুরু হলে এক পর্যায়ে শাবাব সহ তিনজনকে চড়, থাপ্পর সহ মারধর করে পুলিশ। পরে এঘটনার প্রতিবাদে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ২০১৫ ব্যাচের ছাত্ররা।

২০১৫ ব্যাচের ছাত্র শাবাব বলেন, আমরা ইফতার করার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলাম। পরে এক পুলিশ সদস্য আমাদের গতিরোধ করে কাগজপত্র দেখতে চায়। পরে তাকে আমাদের করণীয় জানতে চাইলে এসময় আরো একজন মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি পালাতে ধরলে তাকে ধরতে আমাদের নামিয়ে পুলিশ গাড়ি চায়। একপর্যায়ে ওই পুলিশ সদস্য আমাকে চড় মারে। পরে আরো কয়েকজন এসে আমাদের মারধর শুরু করে। সড়কে ফেলে আমাদের এক বন্ধুকে বেধরক মারধর করা হয়। আমরা এঘটনার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।

আবু সুফিয়ান নামে এক প্রাইভেট কার চালক বলেন, কি নিয়ে যেন তাদের সাথে গ্যানঞ্জাম হইসে। এখন তো সড়ক অবরোধ। গাড়ি থেকে নামতেও পারতেছিনা। পরে এক ভাই এসে ইফতার দিয়ে গেলেন। সেই ইফতার খেয়ে রোজা ভাংলাম। জানিনা কখন অবরোধ ছেড়ে দেয়।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো নোমান হাসান বলেন, আমরা আগেও দেখেছি পুলিশ গাড়ি ধরে মামলা দিয়েছে। তবে সেটা যদি নিয়মের মধ্যে হয় কোন সমস্যা নেই। কিন্তু আজকের এই উদ্ভুত পরিস্থিতি ও এঘটনা মোটেই কাম্য নয়। আমি জড়িতদের দৃস্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করছি।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার রায় বলেন, আজকের উদ্ভুত পরিস্থিতির বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত