দরিদ্র মানুষের কল্যাণে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৪৫ |  আপডেট  : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের হতদরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত শিশু, অনাথ প্রতিবন্ধী, কিশোর-কিশোরী, স্বামী নিগৃহিতা নারী ও প্রবীণ ব্যক্তিবর্গসহ সহায় সম্বলহীন মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নে লাগসই ও টেকসই প্রকল্প গ্রহণসহ সামজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ৫৪টি জনহিতকর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জি-টু-পি পদ্ধতিতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে এক কোটি আট লাখ উপকারভোগীর ভাতা ও অনুদানের টাকা সরাসরি দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে দেশের দরিদ্র মানুষের কল্যাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
সোমবার (২ জানুয়ারি) ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণীতে একথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২৪তম ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৩’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায়, দেশ গড়বো সমাজসেবায়’ যুগোপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অসহায়, অনগ্রসর মানুষকে দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তরে ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য দেশ পুনর্গঠনের শুরুতেই সাংবিধানিক নিশ্চয়তা দেওয়াসহ সুদূরপ্রসারী বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৭৪ সালে তিনি সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি প্রবর্তন এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য পল্লী মাতৃকেন্দ্র শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেন। শিশুদের সুরক্ষায় প্রণয়ন করেন শিশু আইন, ১৯৭৪।

তিনি বলেন, আমরা চা-শ্রমিক, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, বেদে ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ, বিশেষ ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি দিচ্ছি। ক্যানসার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগী এমনকি অগ্নিদগ্ধদের জন্য আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ চিকিৎসা সেবার প্রয়োজনীয় সহায়তা পাচ্ছে। ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তিসহ ভিক্ষুক পুনর্বাসনের জন্যও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শিশু সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করতে টোল ফ্রি চাইল্ড হেল্প লাইন ১০৯৮ সেবা প্রচলন করা হয়।

সরকারপ্রধান বলেন, জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্র ও সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, দেশের সব সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে সামাজিক উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনতে ও জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমাজসেবা অধিদপ্তর বদ্ধপরিকর। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সদা তৎপর থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরতামুক্ত স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। আমি ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৩’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত