দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায়
জামিন মেলেনি খোন্দকার মোহতেশামের
প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২২, ১৫:৪২ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:০৮
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। এছাড়া একইদিনে দুই ভাই ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) মো. সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি (বহিষ্কৃত) ইমতিয়াজ হোসেন রুবেলের জামিনের আবেদনও নাকচ করে দেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত।
বৃহস্পতিবার এ মামলায় চার্জশুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে এ মামলার আসামি মোহতেশামকে এদিন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। একইসঙ্গে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুল হাসান জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
মামলার অপর সাত আসামি হলেন- ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম। আসামিদের মধ্যে নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী ও আসিবুর রহমান ফারহান জামিনে আছেন এবং মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম এখনও পলাতক। বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এছাড়া মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তারা। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন ওই দুই ভাই। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তারা। রাজবাড়ীতে ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর এক আইনজীবী খুন হন। সেই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন বরকত ও রুবেল।
এজাহারে আরও বলা হয়, ২০২০ সালের ১৮ জুন মিরাজ আল মাহমুদ তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, বরকত ও রুবেল অন্তত দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত