গোলাম কবিরের দুটি কবিতা
প্রকাশ: ২০ মে ২০২১, ১৫:৫৬ | আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:১১
" নিজেকেই তাই দেই ধিক্কার "
মানুষের হৃদয় এখন হয়ে গেছে
যেনো অনুভূতিহীন কালো এক প্রস্তর খন্ড!
এতো মানুষ মরছে পৃথিবীর বুকে -
কেউ করোনা অতিমারীর ছোবলে
আবার মরছে একদমই নিরিহ শিশু
থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সীরা গাজা উপত্যকায়
ইসরাইলী সেনাদের ছোঁড়া
গোলার নিক্ষেপে পাখির মতো!
অথচ বিশ্বের সমস্ত মোড়লেরা চুপ
করে বসে বসে তামসা দেখছে,
কেউ আবার বিবৃতির মাধ্যমে প্রতিবাদের শব্দ উচ্চারণই যথেষ্ট মনে করে নির্বিকার!
অথচ এমন তো হবার কথা ছিলো না,
যেখানেই নির্যাতন নেমে আসবে সেখানেই প্রতিবাদ, প্রতিরোধে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে না দিলে
মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ কোথায়? একজন কবি হিসেবে আমি তো শুধু
কবিতা লিখেই আমার ঘৃণার কথা জানাতে পারি,
এই গণহত্যার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে
জনমত গড়ে তুলতে সাহায্য করতে,
এর বেশি কিছু তো আমি পারছি না,
নিজেকেই তাই দেই ধিক্কার!
" মনে রেখো ইসরাইলী দখলদার বাহিনী "
গাজায় ইসরাইলী বাহিনীর আজকের
এই নির্মমতার ভিডিও চিত্র গুলো দেখে দেখে
আমার কেবলই ১৯৭১ এ পাক বাহিনীর
নির্মম হত্যাযজ্ঞের কথাই বারবার মনে পড়ে যায়!
তবে মনে রেখো ইসরাইলী দখলদার বাহিনী -
তোমরাও একদিন শোচনীয় ভাবে হার মানবেই। তোমাদের নাম চিরদিনই পৃথিবীর মানুষ নেবে ঘৃণায়, ধিক্কারে! তোমরা যদি মনে করে থাকো
এই প্রজন্মের ফিলিস্তিনী আবাল বৃদ্ধ বনিতাকে
মেরে ফেললেই পৃথিবীর বুক থেকে মুছে যাবে
ফিলিস্তিনীদের নাম নিশানা,
তবে তোমরা ভুলের স্বর্গে বাস করছো।
নিশ্চিত জেনো রাতের পরেই আসে নতুন স্নিগ্ধ সকাল, ওখানে একদিন নিশ্চয়ই জয় হবে মজলুম জনতার, ইতিহাসই বলে সে কথা! আবার জয় হবে মানবতার, ফিলিস্তিনী জনতার জয় হবে নিশ্চয়ই একদিন!
যেমন আমরা জিতেছিলাম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ এর ১৬ই ডিসেম্বর।
(কবিতাটি ফিলিস্তিনী সকল নির্যাতিত জনগণকে উৎসর্গ করলাম)
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত