করোনা ও লকডাউনে মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত পুস্তক ব্যবসায়ীরা, প্রনোদনার দাবি

  কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৫ এপ্রিল ২০২১, ১৮:৫৫ |  আপডেট  : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪

করোকালীন সময়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় লাইব্রেরী ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে। ফলে কাউনিয়ার অর্ধশতাধিক পুস্তক ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়ে চরম দুর্দিনে পড়েছে। লাইব্রেরীতে বেচাকেনা না থাকায় কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও দিতে পারছেনা পুস্তক ব্যবসায়ীরা। করোনা কালীন সময়ে কম বেশি সকল ধরণের ব্যবসায়ীরা সরকারী প্রনোদনা পেলেও শুধু উপেক্ষিত থেকে যায় পুস্তক ব্যবসায়ীরা। 

কাউনিয়ার পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি সরকারের নিকট আবেদন জানিয়েও কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা পায়নি। উপজেলার তকিপল বাজারের জানি লাইব্রেরীর মালিক আনোয়ার হোসেন বলেন লাইব্রেরীর ব্যবসাটি এমনি এক ব্যবসা যা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার সাথে সম্পৃক্ত। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা বন্ধ তো ব্যবসাও বন্ধ। করোনা আর লকডাউনে আমরা নাজেহাল। লাইব্রেরীতে বেচা-বিক্রি না না থাকায় গত ৬ মাস ধরে কর্মচারীর বেতন ভাতা দিতে না পারায় কর্মচারী লাইব্রেরীতে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। তাই দু-তিন দিনে একদিন লাইব্রেরী দোকান খুলে অবসর সময় কাটিয়ে বাড়ীতে ফিরে যাই। 

উপজেলা পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি ও বিদ্যাসাগর লাইব্রেরীর মালিক সারওয়ার আলম জানান এ উপজেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক বইয়ের লাইব্রেরীর দোকান রয়েছে। লাইব্রেরী ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা করোনা কালীন সময়ে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এ ব্যবসার ক্রেতা শুধু স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা প্রায় ১বছর ধরে বন্ধের পাশাপাশি প্রায় সকল ধরণের পরীক্ষা বন্ধ থাকায় কেউ লাইব্রেরী দোকানের ধারের কাছেও আসেনা। কালে ভদ্রে দু-একটি খাতা কলম ও কিছু স্টেশনারি মালামাল ক্রয়ে দু-একজন ক্রেতার দেখা মিললেও তা দিয়ে ব্যবসা চলেনা। তাই এ ব্যবসার সাথে জড়িত দেড় শতাধিক পরিবার খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। 

বর্নমালা লাইব্রেরীর মালিক রবিউল ইসলাম জানান করোনার ১ম ঢেউয়ে অনেকে প্রনোদনা পেলেও আমরা পুস্তক ব্যবসায়ীরা কিছু পেলাম না। সরকার এতো টাকা প্রনদনা ঘোষনা করেছে কিন্তু আমাদের ভাগের টা গেল কোথায় ? ব্যাংকের ঋনের টাকা পরিশোধ করতে পাচ্ছি না। সরকার আবার নতুন করে লক ডাউন শুরু করায় পুস্তক ব্যবসায়ী ও লাইব্রেরীর কর্মচারীরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাদের কথা বিবেচনা করে সরকারী প্রণেদনার আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত