এসআই কুদ্দুসের নেতৃত্বে আইন-শৃঃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর নজরদারীতে বগুড়ার কাগইল
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৩ | আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭
প্রায় ৮মাস হলে বগুড়া গাবতলীর ১৮কিঃ মিঃ দুরে অবস্থিত কাগইল ইউনিয়ন থেকে অপরাধ প্রবনতা কমাতে ও আইন শৃঃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর নজরদারীতে রেখেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারগন।
জানা যায়, কাগইল ইউনিয়নের সার্বিক ভাবে আইন শৃঃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে বিট অফিসার হিসাবে দায়িত্বে রয়েছেন এসআই আব্দুল কুদ্দুস ও এএসআই আবু তৈয়ব। এরপর থেকেই তারা প্রতিদিন গাবতলী মডেল থানা প্রশাসনের নানা কার্যক্রমে ছুটে আসেন এই ইউনিয়নে। এমনকি তারা থানা পুলিশ সহ সঙ্গীয় র্ফোস নিয়ে এসে জুয়া, গাঁজা, মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রনে একাধিকবার চালিয়েছেন অভিযান ও তল্লাসী। উদ্ধার করেছেন ধারালো চাকু, মাদক ও ইয়াবা। তাদের হাতে ওয়ারেন্ট আসামীসহ নানা অপরাধে গ্রেফতার হয়েছে প্রায় ৩৫জন আসামী। এরপরেও থেমে নেই এসআই আব্দুল কুদুস ও এএসআই আবু তৈয়ব প্রতিদিন তারা গাবতলী থানা, বিজ্ঞ আদালতের মামলা ও বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তের আইনী কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। মাদক নিয়ন্ত্রনে এপয়ন্ত ২০ থেকে ২৫ জনকে গ্রেফতারসহ অনেকেই প্রাথমিক হুশিয়ারী দিয়েছেন। তালিকা ছাড়াও সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাসী অব্যাহত রাখা কাগইলে এখন গাজা ও মাদক নিয়ন্ত্রনের মধ্যে রয়েছে বলে দাবী করেন এসআই আব্দুল কুদ্দুস। তিনি আরো জানান (এসআই আব্দুল কুদ্দুস) গাবতলী মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ এর দিক-নিদের্শনা মতে স্থানীয় প্রশাসন ও বীট কমিউনিটি পুলিশিং এবং কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম সহ সকলের সার্বিক সহযোগিতায় আজ কাগইল ইউনিয়নে মাদক সহ সকল প্রকার অপরাধ প্রবনতা
কমেছে। আগামীদিনে আরো বেশী অভিযান ও আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
ইতিমধ্যে তারা কিশোর গ্যাং থেকে ৯জন’কে গ্রেফতার সহ ধারালো ৬টি বার্মিজ চাকু, ৩০পিচ ইয়াবা, ধারালো ২টি চাকু উদ্ধার করেছে। এছাড়াও তারা উভয়পক্ষকে নিয়ে স্থানীয় ভাবে প্রায় শতাধিক ছোট-বড় ঘটনার অভিযোগ মিমাংসা করা হয়েছে। জিডি মূলে উদ্ধার করা হয়েছে পলাতক তরুন-তরুনী ও মোবাইল ফোন সহ প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও দুর্গাপুজা উৎসব পালনে কাগইল ইউনিয়নে পুলিশের নানাভাবে সাহসী পদক্ষেপ ও কঠোর নজরদারী ছিল। বাল্যবিবাহ রোধ ও আইন শৃঃখলা রক্ষায় সূধীজন সহ সকলের পরামশে আজ কাগইল ইউনিয়নে পুলিশের নানা পদক্ষেপ বেশ সাড়া ফেলেছে। ফলে কমেছে গাজা, মাদক বিক্রি ও সেবন এবং অপরাধ প্রবনতা।
তবে একশ্রেনীর স্বার্থান্বেষী মহল এখন পুলিশের বিরুদ্ধে ভয়ে রাঁতে আধারে নানা প্রকার অপ-প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ফেক ফেসবুক আইডি মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে মিথ্যা অপপ্রচার ও প্রচারণা চালাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে এসআই আব্দুল কুদ্দুস ও এএসআই আবু তৈয়ব জানান, আমরা কখনোই নিরপরাধীকে তল্লাসীর নামে হয়রানী করছি না। যেখানেই গাজা, মাদক ও অপরাধ সংঘটিত হবে সেখানেই আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অপরাধী যেই হোক না কেন কখনোই ছাড় দেওয়া হবে না। আর যারা মিথ্যা অপপ্রচার ও প্রচারনা চালাচ্ছে তাদেরকে খুজে বের করে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।
সান
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত