এক ইঞ্চি মাটিও খালি না থাকে- প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৩, ১৩:৫৫ |  আপডেট  : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:০৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে কিছু লোক তো থাকে সুযোগসন্ধানী। তারা সব সময় সুযোগ নিতে চেষ্টা করে। বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্য থাকার পরও যখন দাম বাড়ে, তার মানে কিছু লোক মজুতদারি করে। তারা ইচ্ছে করে মজুতদারি করে দাম বাড়ায়। তখন আমাদের কিছু বিকল্প পদক্ষেপ নিতে হয়। যেমন পেঁয়াজ আছে বাজারে, কিন্তু ছাড়ছে না, নিয়ে বসে আছে। মানে পেঁয়াজ পচাবে, ফেলে দেবে, তাও বেশি দামে বেচার জন্য বসে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, যখন পাঁচ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিলাম, ১০ থেকে ১২ হাজার মেট্রিক টন আসতে না আসতেই পেঁয়াজের দাম কমে গেলো। এ রকম যারা হোল্ডিং করে, মজুতদারি ও কালোবাজারি করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। আপনারাও সাংবাদিকরা তাদের বের করে দিন। কোথায় কে কী গুঁজে রাখলো, আমরা খুঁজে খুঁজে তাদের বের করবো। মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, সে ব্যবস্থা নেবো। মানুষের কোনও কষ্ট হলে আমরা কোনও কিছু লুকাই না। সেটা সুস্পষ্ট বলি। বলেই সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিই।

বুধবার (২১ জুন) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড ও কাতার সফর নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে প্রধানমন্ত্রী চলমান বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার মহামারির পরে যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধে, তখন থেকে বলা শুরু করেছি সবাইকে আহ্বান করেছি যেন এক ইঞ্চি মাটিও খালি না থাকে। কারণ বিশ্বব্যাপী ব্যাপক হারে খাদ্যমন্দা দেখা দেবে।

ইউক্রেন, রাশিয়া, বেলারুশ এসব রাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি খাদ্য উৎপাদন হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এসব দেশ সারা বিশ্বের খাদ্যচাহিদা মেটায়। কিন্তু মন্দা শুরু হলে আমরা কানাডা থেকে ২০০ ডলারের গম ৬০০ ডলারে কিনেছি। ৮০০ ডলারের জাহাজ ভাড়া ৪০০০ হাজার ডলার দিয়েছি। তবে সেসব দেশ মূল্যস্ফীতি কমাতে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তাদের ফলো করে আমরা ধীরে ধীরে একটা একটা পদক্ষেপ নিচ্ছি।

মানুষকে খাবার সাহায্য দেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং সেক্টর থেকে শুরু করে অর্থনীতি নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা নেওয়া শুরু করেছি। পাশাপাশি আমাদের দেশের মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, সে জন্য ১ কোটি মানুষকে খাবার সাহায্য দেবো। তা ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস যাতে স্বল্পমূল্যে কিনতে পারে, টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে আমরা সেগুলো মানুষের কাছে পৌঁছাবো। পণ্য আমরা বেশি দামে কিনে ভর্তুকি দিচ্ছি। শুধ সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য এসব ব্যবস্থা নিচ্ছি যেন বাজারের ওপর চাপ না পড়ে।

এবার ফসলে ভালো উৎপাদন হয়েছে। আগামীতে ভালো হবে। আমাদের আহ্বানের পর এখন কারও কোনও জমি খালি থাকছে না। সবাই জমি চাষ করছে। সবাই উৎপাদন করে চাহিদা মেটাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এবার যেমন আমরা রমজানে ইফতার পার্টি করিনি। বলেছি সবাই মানুষকে খাবার সাহায্য দাও। যার ফলে রোজার সময় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে পারেনি। প্রত্যেক মানুষ কিছু না কিছু সাহায্য করেছে। বিশেষ করে আমি আমার দল ও সহযোগী সংগঠনের ভাইদের ধন্যবাদ দিচ্ছি এ জন্য।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত