উবার বাংলাদেশে - প্রথম নারী কান্ট্রি হেড

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩২ |  আপডেট  : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:১৩

বাংলাদেশের নারীরাও পিছিয়ে নেই আজ। এই প্রথম শীর্ষস্থানীয় রাইডশেয়ারিং অ্যাপ উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন এক বাঙালি নারী। নাম নাশিদ ফেরদৌস কামাল। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে উবারের জনসংযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বেঞ্চমার্ক পিআর৷ 

বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, নাশিদের রয়েছে মার্কেটিং, প্রোডাক্ট অ্যান্ড প্রাইসিং স্ট্র্যাটেজি, নিউ বিজনেস ডেভলপমেন্ট, কাস্টমার লাইফসাইকেল ম্যানেজমেন্ট, রেভিনিউ এবং বেইজ গ্রোথ খাতে ১৮ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা। 

যাতায়াত ব্যবস্থাকে উন্নত করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে বাংলাদেশে উবারের যাত্রা শুরু হয়। সাত বছরেরও বেশি সময়ের এই যাত্রায় রাইডশেয়ারিং ইকোসিস্টেমে একটি দৃঢ় অবস্থান করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। হাজার হাজার মানুষের জন্য যাতায়াতব্যবস্থাকে সহজ করছে কোম্পানিটি, একইসঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি করছে। এমন এক সময়ে নাশিদের নিয়োগ হয়েছে, যখন উবার বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির নতুন ধাপে রয়েছে এবং নিজেদের ব্যবসাকে আরও উন্নত করে তুলতে কাজ করছে।

উবারে যোগদানের আগে তিনি রবি আজিয়াটা লিমিটেডে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তিনি এই অঞ্চলে কোম্পানিটির এয়ারটেল ব্র্যান্ডের বেইজ ম্যানেজমেন্ট ও কাস্টমার লাইফসাইকেল ম্যানেজমেন্টের নেতৃত্ব দেন।

এর আগে নাশিদ এয়ারটেল বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করেন, যেখানে তিনি মার্কেটিং টিমের অধীনে ইউসেজ অ্যান্ড রিটেনশন এবং মার্কেট শেয়ার গ্রোথ-এর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ উইন্ডসর এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী।

নতুন এই নিয়োগের ব্যাপারে উবার ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার হেড অফ রিজিওনাল বিজনেস অপারেশনস অভিষেক পাধ্যয় বলেন, বাংলাদেশে আমাদের ব্যবসার নতুন কর্ণধার হিসেবে নাশিদকে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। তিনি আমাদের টিমে যুক্ত হওয়ায় উবারের কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হবে। বাংলাদেশে টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। টেলিকম খাতে নাশিদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তার নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির নতুন নতুন পথে এগিয়ে যেতে পারবো বলে আমরা বিশ্বাস করি।

নতুন এই পদে নিযুক্ত হওয়ার পর নাশিদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষের যাতায়াতের চিত্রটিকে বদলে দিয়েছে উবার। একইসঙ্গে লাখো মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে কোম্পানিটি। উবারের প্রতিভাবান টিমের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। বাংলাদেশে আমাদের শেয়ারড মোবিলিটি বিজনেসটিকে আরও এগিয়ে নিতে আমরা কাজ করবো। একইসঙ্গে আমাদের সাসটেইনেবিলিটি সংক্রান্ত লক্ষ্যগুলো পূরণেও আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

সা/ই

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত