থেকে বর্তমান
ইতিহাসের পাতায় দুর্গাপূজা
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২১, ১০:২৫ | আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬
শাশ্বত স্বপন
----------------
শেষ পর্ব
নেত্রকোণার দুর্গাপুর এর পূর্ব নাম সুসং। এখন সুসং দুর্গাপুর নামেই সমধিক পরিচিত। সুসং শব্দটি মূলতঃ সু-সঙ্গ এর পরিবর্তিত রূপ। সুসঙ্গ শব্দটি জড়িয়ে আছে সোমেশ্বর পাঠক মতান্তরে সোমনাথ পাঠকের নামের সাথে। ধারণা করা হয়, তিনি ভারতের কান্যকুব্জ থেকে ১২৮০ খৃষ্টাব্দে পূর্ব ময়মনসিংহের উত্তরভাগ পাহাড় মুল্লুকে সঙ্গীসাথীসহ আগমন করেন। তিনি সেখানকার অত্যাচারী রাজাকে যুদ্ধে পরাস্ত করেন এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সু-সঙ্গ অর্থাৎ ভাল সঙ্গ নামে একটি স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী সময়ে এটি সুসঙ্গ পরগণা হিসেবে পরিচিতি পায়। রাজবংশও উপাধী বদলে সিংহ উপাধী ধারণ করে। এই রাজবংশের রাজা রঘুনাথ সিংহ মোঘল সম্রাট মহামতি আকবরের সাথে একটি চুক্তি করেন। এই চুক্তির অংশ হিসেবে রাজা রঘুনাথ সিংহকে মানসিংহ এর পক্ষে বিক্রমপুরের চাঁদ রায়, কোদার রায় এর বিপক্ষে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে হয়। প্রায় নয় দিন ব্যাপী এই ভীষণ যুদ্ধ চলতে থাকে| পরিশেষে কেদার রায় পরাস্ত হলে রাজা রঘুনাথ সেখান থেকে অষ্ট ধাতুর এক দুর্গা প্রতিমা নিয়ে আসেন এবং রাজ মন্দিরে স্থাপন করেন যা আজো দশভূজা মন্দির নামে সুপরিচিত। তখন থেকেই সু-সঙ্গের সাথে দুর্গাপুর যোগ করে ঐ অঞ্চলের নামকরণ হয় সুসঙ্গ দুর্গাপুর।
আর মানসিংহ কেদার রায়ের গৃহমন্দির থেকে কেদারের আরাধ্য শিলাময়ী মা কালী দেবীকে নিয়ে রাজস্থানে অম্বর দুর্গে এখন অধিষ্ঠিত করেন। এঁর পুজো করার জন্য বাঙালি পুরোহিত নিয়ে গেছিলেন মানসিংহ।
১৭১১ সালে অহম রাজ্যের রাজধানী রংপুরে শারদীয় পূজার নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের দূত রামেশ্বর নয়ালঙ্কার। নবাব সিরাজ-উদ-দ্দৌল্লার আক্রমনে কলকাতার একমাত্র চার্চ ধ্বংশ হবার পর সেখানে কোন উৎসব করা অবস্থা ছিল না। পলাশীর যুদ্ধে বিজয় লাভের জন্য ১৭৫৭ সালে লর্ড ক্লাইভের সন্মানে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির অফিসারদের আপ্যায়নের জন্যই রাজা নবকৃষ্ণদেব শোভাবাজার রাজবাড়িতে এই পূজার আয়োজন করেন। রথের দিনে কাঠামো পূজা করে মূর্তি বানানো শুরু হয়। বোধন হয় নবমীর ১৫ দিন আগে। পূজায় বসত বাছাই করা বাইজিদের নাচের আসর। সন্ধিপূজায় কামান ছোঁড়া হতো। গোরাদের ব্যান্ড বাজিয়ে মহাসমারোহে জোড়া নৌকায় ভাসান হতো দশমীতে। তারপর উড়িয়ে দেওয়া হতো কৈলাশের উদ্দেশ্যে নীলকণ্ঠ পাখি।
কক্সবাজারের মহেষখালীর মৈনাক শিখরেই আদিনাথ মন্দিরের পাশে অষ্টাভূজারূপী দেবী দুর্গার একটি মন্দির রয়েছে। জনশ্রুতি রয়েছে, পৃথিবীর একমাত্র মুসলিম নূর মোহাম্মদ শিকদার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আদিনাথ মন্দির। নূর মোহাম্মদ অষ্টাভূজাকে সদূর নেপাল থেকে এখানে এনে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্নাদেশ পান। পরবর্তীতে নাগা সন্ন্যাসী নামক একজন সাধক ১৬১২ সালে নেপালের ষ্টেট মন্দির থেকে অষ্টাভূজাকে চুরি করে আনার সময় ধরা পড়ে জেলবণ্দি ও বিচারের সম্মুখীন হন। বিচারের পূর্ব রাত্রিতে সন্ন্যাসী যোগমায়াবলে মহাদেবের কৃপা সান্নিধ্য লাভ করেন। মহাদেব অভয় বাণী প্রদান করেন এবং বিচারকের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে ইচ্ছা মোতাবেক উত্তর দিতে বলেন। পরের দিন বিচারকালে বিচারক প্রথমে নেপালের রাজা এর নিকট মূর্তির রং জানতে চাইলে রাজা কষ্টি পাথরের মূর্তি কাল রং বলে বর্ণনা দেন। একই প্রশ্ন সন্ন্যাসীকে করা হলে তিনি মূর্তির রং সাদা বলেন। পরবর্তীতে মূর্তি সকলের সম্মুখে উন্মোচন করে সাদা দেখা যায় এবং সন্ন্যাসীর পক্ষে রায় ঘোষণা করা হয়। রাজা প্রকৃত ঘটনা জানতে উদগ্রীব হলে সন্ন্যাসী তাকে বিস্তারিত বলেন। পরবর্তীতে রাজা যথাযথ মর্যাদার সহিত মৈনাক শিখরে শ্রী শ্রী আদিনাথ এর পাশে মন্দির নির্মাণ করে অষ্টভূজাকে প্রতিষ্ঠান করেন। মন্দির কমিটির তত্ত্বাবধায়কের মতে এখনও নেপাল সরকার মাঝে মধ্যে মন্দিরে যথাসাধ্য অনুদান দিয়ে থাকেন। মহেষখালীতে স্বয়ং অষ্টভূজারুপে দেবী আছেন বলে আলাদা করে শারদীয় উৎসব পালন করা হয় না. তবে ঘটে পূজা হয়।
নবাব সিরাজ পতনের পরে কৃষ্ণচন্দ্র ও নবকৃষ্ণ--এই দুজন রাজার আনন্দিত হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক, ফলে দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রেও কিছু উৎসাহে এসেছে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, কৃষ্ণচন্দ্র মূলত কালিপুজো আর জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলনের জন্য বিখ্যাত। আর নবকৃষ্ণের আগেই কলকাতায় একাধিক ব্যক্তির উদ্যোগে দুর্গাপুজো হয়েছে। চিত্তেশ্বরীখ্যাত চিতে ডাকাত দুর্গাপুজো করত। যেখানে চিতে ডাকাত পূজা করত, সে মন্দির প্রতাপাদিত্যের সময় থেকে আছে।
আধুনিক দূর্গা পূজার প্রাথমিক ধাপ ১৮ম শতকে নানা বাদ্যযন্ত্র প্রয়োগে ব্যক্তিগত, বিশেষ করে জমিদার, বড় ব্যবসাযী, রাজদরবারের রাজ কর্মচারী পর্যায়ে প্রচলন ছিল। বাংলাদেশের সাতক্ষীরার কলারোয়ার ১৮ শতকের মঠবাড়িয়ার নবরত্ন মন্দিরে (১৭৬৭) দূর্গা পূজা হত বলে লোকমুখে শোনা যায়। পাটনাতে ১৮০৯ সালের দূর্গা পূজার ওয়াটার কালার ছবির ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে। ওরিষ্যার রামেশ্বরপুরে একই স্থানে ৪০০ শত বছর ধরে সম্রাট আকবরের আমল থেকে দূর্গা পূজা হয়ে আসছে। জমিদার বাড়ি থেকেই এই পূজার প্রচলন হয়েছিল। বর্তমানে দূর্গা পূজা দুইভাবে হয়ে থাকে, ব্যক্তিভাবে, পারিবারিক স্তরে ও সমষ্ঠিগতভাবে, পাড়া স্তরে। সমষ্ঠিগতভাবে, বার ইয়ার বা বারোয়ারী পূজা ১৭৯০ সালের পশ্চিম বঙ্গের হুগলি জেলার গুপ্তি পাড়াতে বার জন বন্ধু মিলে টাকা পয়সা (চাঁদা) তুলে প্রথম সার্বজনীনভাবে বড় আয়োজনে দূর্গা উৎসব পালন করেন--যা বারোইয়ার বা বারবন্ধুর পূজা নামে ব্যাপক পরিচিতি পায়। কাসীম বাজারের রাজা হরিনাথ ১৮৩২ সালে বারোইয়ারের এই পূজা কলকাতায় পরিচিত করান। পরে তাদের দেখাদেখি আস্তে আস্তে তা উচ্চ বর্ণের হিন্দু বাঙ্গালী জমিদারদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সম্ভবত সেই থেকে বারোয়ারী পূজা শুরু। ১৯১০ সালে সনাতন ধর্ম উৎসাহিনী সভা ভবানীপুরে বলরাম বসু ঘাট লেনে এবং একই জেলায় অন্যান্যরা রামধন মিত্র লেন, সিকদার বাগানে একই বছরে ঘটা করে প্রথম বারোয়ারী পুজার আয়োজন করে।
১৯২৬ সালে অতীন্দ্রনাথ বোস জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে পূজা উৎসবে অংশ গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে দূর্গা পূজা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল (যেমন, কবি নজরুলের আনন্দময়ীর আগমনে কবিতা, বঙ্কিচন্দ্রের বন্দে মা তরম কবিতা, পরবর্তীতে ভারতের জাতীয় সংগীত...)। বৃটিশ বাংলায় এই পূজা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে দূর্গা স্বাধীনতার প্রতীক হিসাবে জাগ্রত হয়। বিংশ শতাব্দির প্রথমার্ধে এই পূজা ঐতিহ্যবাহী বারোয়ারী বা কমিউনিটি পূজা হিসাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে। আর স্বাধীনতার পর এই পূজা পৃথিবীর অন্যতম প্রধান উৎসবের মর্যাদা পায়।
কলকাতার নামকরা পুরনো পূজামন্ডপগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে আছে শোভাবাজার রাজবাড়ি, হাটখোলার দত্ত, পাথুরিয়াঘাটা, লাহাবাড়ির পূজা, ছাতুবাবু-লাটুবাবুর বাড়ির পূজা, মালিক বাড়ির পূজা ইত্যাদি। এই পূজাগুলো বাসন্তী দুর্গা পূজা।
কলকাতার ইতিহাস ঘাঁটলে সবচেয়ে পুরনো পূজা বলতে পাওয়া যায় বাগবাজারের প্রাণকৃষ্ণ হালদারের পূজামন্ডপ। প্রায় ৪০০ বছরের ইতিহাস। কষ্ঠিপাথরের খোদাই করা সেই মূর্তির সঙ্গে ছিলেন জয়া আর বিজয়া নামে দুই সঙ্গিনী। দুর্গা পুত্র-কন্যারা ছিলেন না।
কোলকাতার লাহাবাড়ির পূজা ২০০ বছররের বেশ পুরনো। ঈশ্বর প্রাণকৃষ্ণ লাহা পারিবারিক দেবী জয়া মায়ের নির্দেশেই দুর্গার পুজা শুরু করেন। ১৭৮০ সালে রামদুলাল দে সরকার বিডন স্ট্রিটের বাড়িতে যে পূজা চারু করেন তাই ছাতুবাবু-লাটুবাবু পূজা নামে পরিচিত। ৩৫০ বছরেরও বেশ সময় আগে থেকে হাওরা পণ্ডিত সমাজের সভাপতি মুরারী মোহন বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে দুর্গাপূজা হত। ১৭০ বছরের বেশী পুরনো রামলোচন ঘোষের পাথুরিয়াঘাটার দুর্গাপূজা। এই বাসন্তী পূজাতে প্রায় সবকটাতে মণ্ডবে পশু বলী হত, কালক্রমে পশু বলী বন্ধ হয়।
গবেষক হরিপদ ভৌমিক বলেন, দুর্গার বাহন ঘোড়ামুখো সিংহ। কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ি , শোভাবাজার রাজবাড়ি ও অন্যান অনেক বাড়ির দুর্গাপুজোয় সিংহের মুখ ঘোড়ার মতো । অনেক ঐতিহাসিক মনে করেছেন , ইংরেজদের কৃপায় যাঁরা রাজা - মহারাজা হয়েছেন তাঁরা কোম্পানীর প্রতি আনুগত্য দেখাতে দুর্গামূর্তির সিংহকে ইংরেজ কোম্পানীর লোগোর ঘোড়ামুখো সিংহ ব্যবহার করেছেন | এই তথ্যটি কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল | আপনারা কোম্পানীর লোগোর ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন | কোম্পানীর লোগো থেকে যদি কৃষ্ণনগর বা শোভাবাজার প্রভৃতির সিংহ ঘোড়া হয়ে থাকে , তাহলে কলকাতার চিত্তেশ্বরী দুর্গামূর্তিতে ঘোড়া মুখো সিংহ হয়ে গেল কি করে ! এই চিত্তেশ্বরী মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৬১০ খ্রীস্টাব্দে | স্বামী বিবেকানন্দের ভাই শ্রদ্বেয় মহেন্দ্র নাথ দত্ত জানিয়েছেন-- " শাক্তের বাটীতে দুর্গার সিংহ সাধারণ ভাবে এবং গোঁসাই-এর বাড়িতে সিংহ ঘোড়ার মতো মুখ হইত |" অর্থাৎ যে বাড়িতে বৈষ্ণব মতে দুর্গা পূজা হতো সেখানে দেবীর সিংহ ঘোড়ামুখো |
সরকারী বা জাতীয়ভাবে এই উৎসবকে দূর্গা পূজা বা দূর্গা উৎসব হিসাবে অভিহিত করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় এটাকে শরৎ কালের বার্ষিক মহা উৎসব হিসাবে ধরা হয় বলে ইহাকে শারদীয় উৎসবও বলা হয়। গত বছর কার্তিক মাসের ২য় দিন থেকে ৭ম দিন পর্যন্ত এই উৎসবকে পঞ্চমী, ষষ্ঠি, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী ও দশমী নামে পালন করা হয়েছে। বাংলা পঞ্চিকা অনুসারে, এ বছর শুক্রবার ছিল মহালয়া ( দেবী পক্ষের আগমন বার্তা), ২৪ শে আশ্বিন পন্চমী, তারপর ষষ্ঠি, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী ও ২৯ শে আশ্বিন দশমী নামে পালন করা হবে। রামায়ন অনুসারে, অকালে বা অসময়ে দেবীর আগমন বা জাগরণ বলে শরৎকালের দূর্গা উৎসবকে অকালবোধনও বলা হয়। বসন্তকালের দূর্গা পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। ধর্মীয় শাস্ত্রে, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে, বিভিন্ন দেশে আমরা দূর্গার বিভিন্ন নাম পাই। যদিও বলা হয়ে থাকে, মা দুর্গার একশত আটটি নাম, তবে কম বা বেশি হওয়ার বিতর্ক রয়েই যায়ঃ (১)দুর্গা, (২) সাধ্বী, (৩) ভবপ্রীতা, (৪) ভবানী, (৫)ভবমোচনী, (৬) আর্য্যা, (৭) সতি,(৮) জয়া, (৯)আদ্যা (১০) ত্রিনেত্রা, (১১) শূলধারিণী, (১২)পিনাকধারিণী, (১৩) চিত্রা, (১৪) চন্দ্রঘণ্টা,(১৫) মহাতপা, (১৬) অন্নপূর্ণা, (১৭) বুদ্ধি, (১৮) অহঙ্কারা, (১৯) চিত্তরূপা, (২০) চিতা, (২১)ঈশ্বরী, (২২) সর্বমন্ত্রময়ী, (২৩) নিত্যা, (২৪) সত্যানন্দস্বরূপিণী, (২৫) অনন্তা, (২৬) ভাবিনী, (২৭) ভাব্যা, (২৮) ভব্যা, (২৯) অভব্যা, (৩০) সদাগতি, (৩১) শাম্ভবী,(৩২) দেবমাতা, (৩৩) ঊমা, (৩৪) রত্নপ্রিয়া, (৩৫) সর্ববিদ্যা, (৩৬) দক্ষকন্যা, (৩৭) দক্ষযজ্ঞবিনাশিনী, (৩৮) অপর্ণা, (৩৯) অনেকবর্ণা, (৪০) পাটলা, (৪১) পাটলাবতী, (৪২) পট্টাম্বরপরিধানা, (৪৩) কলমঞ্জীররঞ্জিনী, (৪৪) অমেয়বিক্রমা, (৪৫) ক্রূরা, (৪৬) সুন্দরী, (৪৭) সুরসুন্দরী, (৪৮) বনদুর্গা, (৪৯) মাতঙ্গী, (৫০) মতঙ্গমুনিপূজিতা, (৫১) ব্রাহ্মী, (৫২) মাহেশ্বরী, (৫৩) ঐন্দ্রী, (৫৪) কৌমারী, (৫৫) বৈষ্ণবী, (৫৬) চামুণ্ডা, (৫৭) বারাহী, (৫৮) পার্বতী (৫৯) পুরুষাকৃতি, (৬০) বিমলা, (৬১)উৎকর্ষিণী,(৬২) জ্ঞানা, (৬৩) ক্রিয়া, (৬৪) সত্যা,(৬৫) বুদ্ধিদা, (৬৬) বহুলা, (৬৭) বহুলপ্রেমা, (৬৮) সর্ববাহনবাহনা, (৬৯) শুম্ভনিশুম্ভহননী, (৭০) মহিষাসুরমর্দিনী, (৭১) মধুকৈটভহন্ত্রী, (৭২) চণ্ডমুণ্ডবিনাশিনী, (৭৩) সর্বাসুরবিনাশা,(৭৪) সর্বদানবঘাতিনী, (৭৫) সর্বশাস্ত্রময়ী, (৭৬) মহামায়া, (৭৭) সর্বাস্ত্রধারিণী, (৭৮) অনেকশস্ত্রহস্তা,(৭৯) অনেকাস্ত্রধারিণী, (৮০) কুমারী, (৮১) কন্যা,(৮২) কৈশোরী, (৮৩) যুবতী, (৮৪) যতি,(৮৫) অপ্রৌঢ়া, (৮৬) প্রৌঢ়া, (৮৭) বৃদ্ধমাতা, (৮৮) বলপ্রদা, (৮৯) মহোদরী,(৯০) মুক্তকেশী, (৯১) ঘোররূপা, (৯২) মহাবলা,(৯৩) অগ্নিজ্বালা, (৯৪) রৌদ্রমুখী,(৯৫) কালরাত্রি, (৯৬) তপস্বিনী, (৯৭) নারায়ণী, (৯৮) ভদ্রকালী, (৯৯) বিষ্ণুমায়া, (১০০) জলোদরী,(১০১) শিবদূতী, (১০২) করালী, (১০৩) অনন্তা, ১০৪) পরমেশ্বরী, (১০৫) কাত্যায়নী, (১০৬) সাবিত্রী, (১০৭) প্রত্যক্ষা এবং (১০৮) ব্রহ্মবাদিনী। আমরা ১০৮ টি নামের সাথে আরো কিছু নাম পাই, যেমন, চিন্তা, লক্ষী, মনঃ, চিতি, শাকম্ভরী ---প্রমুখ নামেও দেবী দুর্গাকে ডাকা হয়, পূজাও হয়ে থাকে। ভারতবর্ষে গবেষণা হলে, দুর্গার আরো নাম সংশোধন , সংযোজন, বিয়োজন হতে পারে।
দুর্গাপূজা ভারতে অসম, বিহার, ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপকভাবে উৎযাপন করা হয়। সেখানে পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়। পশ্চিম বঙ্গ ও ত্রিপুরায় সবচেয়ে বড় সামাজিক, সাংস্কৃতিক উৎসব হিসাবে ইহা পালিত হয়। এসব স্থানে বাঙ্গালী হিন্দুরা ব্যাপক সংখ্যায় বসবাস করে। বাঙ্গালী হিন্দুদের বাইরে এ পূজা অতীতে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল না। বর্তমানে পূর্ব ভারতের কলকাতা, হুগলী, শিলিগুড়ি, কুচবিহার, লতাগুড়ি, বাহারাপুর, জলপাইগুড়ি এবং ভারতের অন্যান্য অঞ্চল যেমন, আসাম, বিহার, দিল্লী, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গোয়া, গুজরাট, পাঞ্জাব, কাশ্মীর, অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কেরালায় ঘটা করে এই উৎসব পালন করা হয়। নেপালে ও ভুটানেও স্থানীয় রীতি-নীতি অনুসারে প্রধান উৎসব হিসাবে পালন করা হয়।
দুই বাংলায় দেবী দুর্গার যে মূর্তিটি সচরাচর দেখা যায় সেটি পরিবার সমন্বিতা বা স্বপরিবার দুর্গার মূর্তি। এই মূর্তির মধ্যস্থলে দেবী দুর্গা সিংহবাহিনী ও মহিষাসুর মর্দিনী, তাঁর মুকুটের উপরে শিবের ছোট মুখ, দেবীর ডানপাশে দেবী লক্ষ্মী ও গণেশ, বামপাশে দেবী সরস্বতী ও কার্তিকেয়। হিন্দুরা দেবী দূর্গাকে মহাশক্তির একটি উগ্র রূপ মনে করেন। দেবী দুর্গার অনেকগুলি হাত। বিশেষত দেবী দুর্গার অষ্টাদশভূজা, ষোড়শভূজা, দশভূজা, অষ্টভূজা ও চতুর্ভূজা মূর্তি দেখা যায়। তবে দেবী দূর্গার স্বপরিবার দশভূজা রূপটিই বেশি জনপ্রিয়। আবার দেবীর এই দশভূজা স্বপরিবার মূর্তির সর্বপ্রথম কলকাতায় সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার ১৬১০ সালে প্রচলন করেন। তাঁরা কার্তিকেয়র রূপ দেন জমিদার পুত্রের, যা তৎপূর্বে ছিলো সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের আদলে যুদ্ধের দেবতা রূপে। এগুলি ছাড়াও বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে দেবী দুর্গার বিভিন্ন রকমের স্বতন্ত্র মূর্তিও চোখে পড়ে। তবে দুর্গার রূপকল্পনা বা কাঠামো বিন্যাসে যতই বৈচিত্র থাকুক, বাংলায় দুর্গোৎসবে প্রায় সর্বত্রই দেবী দুর্গা স্বপরিবারে পূজিতা হন।
দেবী দুর্গার তত্ত্ব পরিচিতিঃ দেবনাগরীঃ- পার্বতী, লিপ্যন্তরঃ- দূর্গা , অন্তর্ভুক্তিঃ- মহাশক্তি, আবাসঃ- কৈলাস, মন্ত্রঃ- ওঁ দুর্গে দুর্গে রক্ষণি স্বাহা, অস্ত্রঃ- ত্রিশূল, খর্গ, চক্র, বাণ, শক্তি, ঢাল, ধনুক, ঘণ্টা, পরশু, নাগপাশ, সঙ্গীঃ- শিব, বাহনঃ- সিংহ, বাঘ। দুর্গা অর্থাৎ "যিনি দুর্ভোগ বা সংকট থেকে রক্ষা করেন তিনি দেবী দূর্গা। যে দেবী অগম্যা, দুষ্প্রাপা বা যাকে সহজে পাওয়া যায় না এই অর্থে দূর্গা। দূর্গ নামক দৈত্যকে দমন করে ইনি দূর্গা নাম প্রাপ্ত হন। সনাতন ধর্মমতে, পরমা প্রকৃতি স্বরূপা মহাদেবী, মহাদেবের পত্নী। মার্কেণ্ডেয় পুরাণের মতে– ইনি মহামায়া, পরমবিদ্যা, নিত্যস্বরূপা, যোগনিদ্রা। ইনি জন্মমৃত্যু-রহিতা। আদিকালে বিষ্ণু যখন যোগনিদ্রায় ছিলেন, তখন মধু ও কৈটভ [মধুকৈটভ] নামক দুটি ভয়ঙ্কর দৈত্য ব্রহ্মাকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিল। এই সময় ব্রহ্মা যোগনিদ্রারূপী এই দেবীকে বন্দনা করেন। পরে এই দেবীর দ্বারা বিষ্ণু বলিয়ান হয়ে ঐ দৈত্যদের সাথে যুদ্ধ করার ক্ষমতা অর্জন করেছিলেন। আবার এই দেবীর প্রভাবে দৈত্যরা বিষ্ণুর সাথে যুদ্ধ করতে সমর্থ হয়েছিলেন। হিন্দুশাস্ত্রে "দূর্গা" শব্দটিকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলা হয়েছে যে:-
“দৈত্যনাশার্থবচনো দকারঃ পরিকীর্তিতঃ।
উকারো বিঘ্ননাশস্য বাচকো বেদসম্মত।।
রেফো রোগঘ্নবচনো গশ্চ পাপঘ্নবাচকঃ।
ভয়শত্রুঘ্নবচনশ্চাকারঃ পরিকীর্তিত।।”
অর্থাৎ, দ-- দৈত্য বিনাশ করে, উ-কার-- বিঘ্ন নাশ করে, রেফ--রোগ নাশ করে, গ-- পাপ নাশ করে এবং। অ-কার--শত্রু নাশ করে-- পরিপূর্ণ অর্থ হলো যে দৈত্য, বিঘ্ন, রোগ, পাপ ও শত্রুর হাত থেকে যিনি রক্ষা করেন, তিনিই দুর্গা।
অন্যদিকে শব্দকল্পদ্রুম বলেছে, "দুর্গং নাশয়তি যা নিত্যং সা দুর্গা বা প্রকীর্তিতা"।
অনুবাদ:- যিনি দূর্গ নামক অসুরকে বধ করেছিলেন, তিনি সব সময় দুর্গা নামে পরিচিত।
শ্রীশ্রীচণ্ডী বা দেবীমাহাত্ম্যেম্ অনুসারে যে দেবী:- "নিঃশেষ দেবগণ শক্তি সমূহ মূর্ত্যাঃ"-- সকল দেবতার সম্মিলিত শক্তির প্রতিমূর্তি, তিনিই দুর্গা।
দূর্গাপূজা বা দূর্গোৎসব, সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবী দূর্গাকে কেন্দ্র করে প্রচলিত এক বৃহৎ উৎসব। এই দুর্গাপূজা সমগ্র হিন্দু সমাজেরই প্রচলিত উৎসব। তবে বাঙালি হিন্দু সমাজে এটি অন্যতম বিশেষ ধর্মীয় ও প্রধান সামাজিক উৎসব। আশ্বিন বা চৈত্রমাসের শুক্লপক্ষে দুর্গাপূজা করা হয়। আশ্বিন মাসের দুর্গাপূজা শারদীয়া দুর্গাপূজা এবং চৈত্র মাসের দুর্গাপূজা বাসন্তী দুর্গাপূজা নামে পরিচিত। শারদীয়া দুর্গাপূজার জনপ্রিয়তা বেশি।
বাংলাদেশের ঢাকা, চট্রগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী, সিলেট, মৌলবীবাজার (বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল), রংপুর, বগুরা এবং অন্যান্য জেলায়ও ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই উৎসব পালন করা হয় এবং সরকারীভাবে এক দিনের এবং হিন্দুদের জন্য তিন দিনের ছুটি ঘোষনা করা হয়। বিদেশে যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, জামার্নী, নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, ফিজি, টোবাকো, কুয়েত, মালয়েশিয়া সহ বিশ্বের বহু দেশে অভিবাসী হিন্দুদের বা বাঙালী হিন্দুদের নানা সংগঠন এই উৎসব পালন করে থাকে। ২০০৬ সালে, মহাদূর্গা পূজা অনুষ্ঠান ব্রিটিশ মিউজিয়ামের গ্রেট কোর্টে অনুষ্টিত হয়েছিল। বঙ্গে এই পূজাকে শারদীয় পুজা, শারদোৎসব, মহা পূজা, মায়ের পূজা, ভগবতী পূজা এবং বসন্তকালে বাসন্তী পুজা হিসাবে উৎযাপন করা হয়। বিহার, আসাম, উড়িষ্যা, দিল্লী, মধ্যপ্রদেশ--এ দূর্গা পূজা, মহারাষ্ট, গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, কেরালায়, হিমাচল প্রদেশ, মহীশুর, তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশে এ পূজাকে নবরাত্রি পূজা বলা হয়।
তথ্যসূত্র
↑ ক খ "Akaal Bodhan Article"।
↑ "Akaal Bodhan Article"। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১১।
↑ হিন্দুদের দেবদেবী, তৃতীয় খণ্ড, হংসনারায়ণ ভট্টাচার্য, ফার্মা কেএলএম প্রাঃ লিঃ, পৃ. ২২৭
↑ প্রবন্ধ শব্দাঞ্জলিতে দুর্গাপূজা, হরিপদ ভৌমিক, নতুন বাংলার মুখ পত্রিকা, আশ্বিন ১৪১৪, অক্টোবর ২০০৭, পৃ. ১৬৩ দ্রঃ
↑ প্রবন্ধ শব্দাঞ্জলিতে দুর্গাপূজা, হরিপদ ভৌমিক, নতুন বাংলার মুখ পত্রিকা, আশ্বিন ১৪১৪, অক্টোবর ২০০৭, পৃ. ১৬৩-৬৪ দ্রঃ
↑ ক খ শ্রীশ্রীচণ্ডী, প্রথম অধ্যায়
↑ শ্রীশ্রীচণ্ডী, অনুবাদ ও সম্পাদনাঃ স্বামী জগদীশ্বরানন্দ, উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা, ১৯৬২ সংস্করণের ১০৭ পৃষ্ঠার পাদটীকাটি দ্রষ্টব্য
↑ শ্রীশ্রীচণ্ডী, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অধ্যায়
↑ রামায়ণ কৃত্তিবাস বিরচিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত ও ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় লিখিত ভূমিকা সম্বলিত, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, ১৯৫৭ সংস্করণ
↑ জগজ্জননী দেবী দুর্গা শ্রী পতিত উদ্ধরণ গৌর দাস ব্রহ্মচারী সংকলিত, ভক্তিবেদান্ত গীতা একাডেমি, ইস্কন বাংলাদেশ প্রকাশিত
↑ শব্দকল্পদ্রুম ৩।১৬৬৬; পূজা-বিজ্ঞান, স্বামী প্রমেয়ানন্দ, উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা, ১৯৯৯, পৃষ্ঠা ৪৪ থেকে উদ্ধৃত
↑ "দেবীবাহন সিংহের ধ্যান", শ্রীশ্রীচণ্ডী, স্বামী জগদীশ্বরানন্দ অনূদিত ও সম্পাদিত, উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা, পৃ. ৪৯
↑ কালিকাপুরাণোক্ত শ্রীশ্রীদুর্গাপূজা পদ্ধতি, প্রবীরকুমার চট্টোপাধ্যায় কাব্যতীর্থ, পারুল প্রকাশনী, কলকাতা, পৃ. ১০০
↑ কালীবিলাস তন্ত্র, ১৮।৩০
↑ কালিকাপুরাণ, ৫৮।৬৫-৬৭
↑ শিবপুরাণ, বায়বীয় সংহিতা, ২১।১০
↑ পদ্মপুরাণ, সৃষ্টিখণ্ড, ৪৪।৭৮
↑ দেবীপুরাণ, ৭।৪৫।৫০
↑ দেবদেবী ও তাঁদের বাহন, স্বামী নির্মলানন্দ, প্রণব মঠ, কলকাতা, পৃষ্ঠা ২৪
↑ দেবদেবী ও তাঁদের বাহন, স্বামী নির্মলানন্দ, প্রণব মঠ, কলকাতা, পৃষ্ঠা ১৫৫
↑ মা দুর্গার কাঠামো, মহানামব্রত ব্রহ্মচারী, মহাউদ্ধারণ মঠ, কলকাতা, পৃষ্ঠা ৬
↑ ক খ কালিকাপুরাণোক্তk শ্রীশ্রীদুর্গাপূজা পদ্ধতি, প্রবীরকুমার চট্টোপাধ্যায় কাব্যতীর্থ, পারুল প্রকাশনী, কলকাতা, পৃষ্ঠা ৭২, ১০৮, ১২৭
↑ ক খ "দুর্গাপূজা কোন পদ্ধতিতে হয়", স্বামী ত্যাগিবরানন্দ, সাপ্তাহিক বর্তমান, ১২ অক্টোবর, ২০১৩ সংখ্যা, পৃ. ১৫
↑ কালিকাপুরাণোক্ত শ্রীশ্রীদুর্গাপূজা পদ্ধতি, প্রবীরকুমার চট্টোপাধ্যায় কাব্যতীর্থ, পারুল প্রকাশনী, কলকাতা, পৃ. ২০২
↑ হিন্দুদের দেবদেবী, তৃতীয় খণ্ড, হংসনারায়ণ ভট্টাচার্য, ফার্মা কেএলএম প্রাঃ লিঃ, কলকাতা, পৃ. ২৪১
↑ "Durga-puja.org"। Durga-puja.org। ২০১২-১০-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-২৫।
↑ "Durga The Divine Mother"। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১১।
↑ "BDNews24.com: Durga Puja 13–17 Oct (2010)"। ১০ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৩।
↑ বেলুড় মঠে স্বামীজীর দুর্গাপূজা, স্বামী দেবেন্দ্রানন্দ, উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা, ২০১০, পৃ. ২৫
↑ ক খ বেলুড় মঠে স্বামীজীর দুর্গাপূজা, স্বামী দেবেন্দ্রানন্দ, উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা, ২০১০, পৃ. ১৫
↑ মল্লভূম বিষ্ণুপুর, মনোরঞ্জন চন্দ্র, দে'জ পাবলিশিং, কলকাতা, ২০০৪, পৃ. ১০৪
↑ মল্লভূম বিষ্ণুপুর, মনোরঞ্জন চন্দ্র, দে'জ পাবলিশিং, কলকাতা, ২০০৪, পৃ. ১০৮-১১০
↑ "Kali Bari website to help old bond with the new"। Hindustan Times। ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১১।
↑ "Delhi's old timers remember as another Durga Puja dawns"। Monsters and Critics। অক্টো ১৬, ২০০৭।
↑ "Tradition fuses with modernity"। The Times of India। অক্টো ৩, ২০১১।
↑ "Festive spirit pervades the Capital"। The Hindu। অক্টো ১৫, ২০০৭।
↑ "How community pujas came about"। India Today। সেপ্টেম্বর ২৫, ২০০৯।
↑ ক খ Chaliha, Jaya, and Gupta, Bunny, Durga Puja in Calcutta, p.336, Calcutta, the Living City, Vol II, edited by Sukanta Chaudhuri, 1990/2005, p.2, Oxford University Press, আইএসবিএন ০-১৯-৫৬৩৬৯৭-X.
↑ Home Chowdhury, Amlan। "Kumartuli, Potters Town"। littleindia.com। ২০০৭-০৯-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৭-১৫।
↑ Sahoo, Srilat Saha। "Durga Puja – the festival of peace and harmony"। Press Release। Press Information Bureau, Government of India। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৭-১৫।
↑ "durga_puja : Mahalaya"। www.netglimse.com। ২০০৯-০৬-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৬-১৩।
↑ "Mahalaya: Invoking the Mother Goddess"। hinduism.about.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৬-১৩।
↑ ক খ "Biography of Pankaj Kumar Mullick - the versatile musical genius"। www.pankajmullick.org। ২০০৯-০৪-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৬-১৩।
↑ Mahalaya ushers in the Puja spirit The Times of India, TNN 19 September 2009.
↑ Morning Raga ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে Indian Express, PiyasreeDasgupta, Sep 18, 2009.
↑ "Mahisasura Mardini by Birendra Krishna Bhadra (AIR Recording) – Details of tracks and artists"। QuiQinQ। ২০১২-১০-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২১।
↑ "Mahalaya : Durga Puja mahalaya : Durga Puja"। www.bangalinet.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৬-১৩।
↑ ক খ "Durga Puja Tithi and Timing"। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১২।
রামায়ণ কৃত্তিবাস বিরচিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত ও ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় লিখিত ভূমিকা সম্বলিত, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, ১৯৫৭ সংস্করণ)
50. দূর্গা পূজা, উইকিপিডিয়া, ফ্রি এনসাইক্লোপিডিয়া
51. বাংলাদেশ ও পাক ভারতের ইতিহাস, জে.এম. বেলাল হোসেন সরকার, আনোয়ারুল হক মজুমদার, আবদুল আউয়াল
52. ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী, মুনতাসীর মামুন
53. দৈনিক পত্রদূত, সাতক্ষীরা
54 . ঢাকেশ্বরী মন্দির, উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ
55. প্রবন্ধ শব্দাঞ্জলিতে দুর্গাপূজা, হরিপদ ভৌমিক, নতুন বাংলার মুখ পত্রিকা, আশ্বিন ১৪১৪, অক্টোবর ২০০৭, পৃ. ১৬৩-৬৪ দ্রঃ
56. বাঙালির দুর্গাপূজা–এক সুপ্রাচীন মহোৎসব, Arnab
57. প্রবন্ধঃ শব্দাঞ্জলিতে দুর্গাপূজা, হরিপদ ভৌমিক, নতুন বাংলার মুখ পত্রিকা, আশ্বিন ১৪১৪, অক্টোবর ২০০৭, পৃ. ১৬৩-৬৪ দ্রঃ
58. রামায়ণ কৃত্তিবাস বিরচিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত ও ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় লিখিত ভূমিকা সম্বলিত, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, ১৯৫৭ সংস্করণ
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত