তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

২৮ তারিখ সরকারের নয়, বিএনপির পতনযাত্রা শুরু হবে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৩৮ |  আপডেট  : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০২

বিএনপির আন্দোলন দেশের মানুষের কাছে হাস্যরস তৈরি করে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গত ১৫ বছর যাবত বিএনপির আন্দোলনের হুমকি শুনছেন উল্লেখ করে কোন বছরের ২৮ অক্টোবর তাদের সরকার পতনের আন্দোলন হবে তা জানতে চান তথ্যমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) মেধাবৃত্তি ও সংবর্ধনা ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গতকাল সমাবেশ থেকে মির্জা ফখরুল সাহেব বললেন, ২৮ অক্টোবর সমাবেশের মধ্যমে সরকার পতনের আন্দোলনের সূচনা হবে। এটা মানুষের মধ্যে হাস্যরস তৈরি করেছে। তারা আসলে কোন ২৮ অক্টোবর আন্দোলন করবে? এ বছর নাকি পরের বছর? আগে তারা বলতো ঈদের পর আন্দোলন, এখন পূজার পর বলে তা ২৮ অক্টোবর নিয়ে গেছে। 

‘আসলে ২৮ তারিখ বিএনপির পতনযাত্রা শুরু হবে। ২৮ তারিখের আগেই হয়তো তারা বলবে, আগামী নির্বাচনের পর তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে’, যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী। 

সুস্থ রাজনীতি ও মেধাবীদের রাজনীতিতে আসার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের শিশুদের সঠিকভাবে বেড়ে উঠার জন্য সুস্থ রাজনীতি প্রয়োজন। অসুস্থ রাজনীতি সামাজের জন্য ক্ষতিকর। দুঃখজনকভাবে রাজনীতি মেধাবীরা আসছে না। কিন্তু এতে রাজনীতির মঞ্চ তো খালি থাকছে না। মেধাহীনরা এই স্থান দখল করছে। এতে সামগ্রিকভাবে দেশ ও রাজনৈতিক পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।

রাজনৈতিক ভালো পরিবেশের উদাহরণ কেমন হওয়া উচিত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, গতকাল ঢাকায় দুইটি বড় সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশগুলোর দূরত্ব ছিল মাত্র ২ কিলোমিটার। অথচ কোনো ঝামেলা হয়নি। দুইটা সমাবেশই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। রাজনৈতিক পরিবেশ এমন হওয়া উচিত। 

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে বিএনপি-জামায়েতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গাজায় হাসপাতালে হামলার ঘটনায় আমেরিকা, ফ্রান্স প্রতিবাদ জানিয়েছে। অথচ বিএনপি একটা প্রতিবাদও জানায়নি। তারা শুধু খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও তারেক রহমানের মামলা নিয়ে ব্যস্ত। এর প্রতিবাদ না জানিয়ে বিএনপি শিশু হত্যার ও এই হামলার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বিএনপির সাথে জামায়াতও নিশ্চুপ। অথচ তারা মুখে বলে আল্লাহর আইনে দেশ চাই, সৎ লোকের শাসন চাই। 

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বৃত্তির অংক কত বড় সেটা বড় বিষয় না। কিন্তু বৃত্তি পাওয়াতে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা জোগায়। আমি রাজনীতিবিদ ছাড়াও একজন শিক্ষক। জীবনে স্বপ্ন দেখাটা জরুরি। স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগী হতে হবে। অভিভাবকদের তাদের স্বপ্ন দেখাতে শিখতে হবে। জীবন একটি যুদ্ধের মতো, জীবন চলার পথে কোনো একটা পরীক্ষায় হেরে যেতে পারো, তবে হাল ছাড়লে হবে না। পুরোদমে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। কখনও লক্ষ্যচ্যুত হওয়া যাবে না। তোমাদের মানবিক মানুষে পরিণত হতে হবে। বাবা-মা যেমন তোমাদের খেয়াল রাখছে। বৃদ্ধ বয়সে তাদের খেয়াল তোমাদের রাখতে হবে। 

আমরা আমেরিকা-ইউরোপের থেকে আর্থিকভাবে গরিব হতে পারি। তবে সামাজিক মূল্যবোধ ও মানবিকতায় আমরা অনেক এগিয়ে বলেও জানান ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় তথ্যমন্ত্রী মোট ২৬ জন শিক্ষার্থীর হাতে বৃত্তির অর্থ ও ক্রেস্ট তুলে দেন। 

সভাপতির বক্তব্যে সাব-ইডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মামুন ফরাজী বলেন, আমাদের সন্তানদের আমরা বৃত্তি দিতে পেরে আনন্দিত। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক ও আইইবি ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত