হেলিকপ্টার দেখতে গিয়ে গুলিতে নিহত সুমাইয়ার মরদেহ উত্তোলন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:১৭ |  আপডেট  : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:০৯

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বারান্দা থেকে হেলিকপ্টার দেখতে গিয়ে গুলিতে নিহত হন সুমাইয়া আক্তার (১৯)। তাকে দাফনের ৪ মাস পর তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১টায় সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আক্তারের উপস্থিতিতে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। এদিন দুপুর ২টায় তিনি নিজেই বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গত ২০ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদীর নতুন মহল্লার ৬ তলা ভবনের বারান্দায় হেলিকপ্টার দেখতে গিয়ে মাথার বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সুমাইয়া আক্তার।

এ ঘটনায় নিহত সুমাইয়ার ভগ্নিপতি মো. বিল্লাল বাদী হয়ে গত ২২ আগস্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজনের নামে ও অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আক্তার বলেন, আদালতের নির্দেশে নিহত সুমাইয়া আক্তারের (১৯) মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের শেষে একই কবরস্থানে সুমাইয়ার মরদেহ দাফন করা হবে।

গত ২০ জুলাই বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকার একটি ভবনের ছয়তলার ফ্ল্যাটের বারান্দায় হেলিকপ্টারের শব্দ শুনে দেখতে গেলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন সুমাইয়া। পরে সুমাইয়ার স্বজনরা তাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাইনবোর্ডের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে রাত সাড়ে ১১টায় সুমাইয়ার মরদেহ পাইনাদী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহত সুমাইয়া আক্তার বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ থানার চরনন্দপুর এলাকার বাসিন্দা সেলিম মাতবরের মেয়ে।

এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকার পতন হওয়ার পর গত ২২ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরী ওসমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি ও সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের নামে ও অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়।

 

সা/ই

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত