আলোচনা স্থগিত
হামাস–ইসরায়েল সংঘাত : একদিনে ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত
প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:২৭ | আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৭
গাজার উত্তরাঞ্চলের পাশাপাশি এবার দক্ষিণাঞ্চলেও হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। হামাস নির্মূলের লক্ষ্য পূরণের আগ পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এই হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানায় গাজা কর্তৃপক্ষ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা বলছে, আগের দিন শনিবার ২৪ ঘণ্টায় ২ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহতের খবর দিয়েছিল গাজা। রোববার গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয়ের মহাপরিচালক জানান, আগের ২৪ ঘণ্টায় ৭ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
যুদ্ধবিরতিতে আরও অনেক ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ পর্যন্ত বাস্তুহারা হয়েছে ১৫ লাখের বেশি মানুষ। এমনটাই জানিয়েছেন গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয়ের মহাপরিচালক।
গাজায় গত শুক্রবার শেষ হয়েছে টানা ৭ দিনের যুদ্ধবিরতি। হামাস–ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি শেষ না হতেই গাজায় হামলা জোরদার করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গাজায় হামলার জবাবে শনিবার ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
শনি ও রোববার তেল আবিব, আশকেলনসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় কিছুক্ষণ পরপরই সতর্কীকরণ সাইরেন বেজে ওঠে। তবে হামাসের অধিকাংশ হামলা প্রতিহতের দাবি করেছে ইসরায়েল।
এদিকে ইসরায়েলি হামলা বন্ধ ও সব ফিলিস্তিনি কারাবন্দি মুক্তির আগ পর্যন্ত বন্দিবিনিময় আলোচনা স্থগিত করেছে হামাস।
হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল আরৌরি বলেন, ‘৭ অক্টোবর গাজায় যেসব বিদেশি নাগরিক, নারী ও শিশু জিম্মিকে আনা হয়েছিল, তারা কখনোই আমাদের লক্ষ্য ছিল না। ব্যতিক্রম পরিস্থিতিতে তাদের জিম্মি করা হয়েছিল। তাই বিনাশর্তে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে এখন যেসব জিম্মি রয়েছে, তারা সবাই ইসরায়েলি সেনা ও তাদের সাবেক সহযোগী। তাই গাজায় আগ্রাসন বন্ধ ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আগ পর্যন্ত বন্দিবিনিময় নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না।’
এর আগে শনিবার গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনা ও সাঁজোয়া যান ধ্বংসের ভিডিও প্রকাশ করে হামাস।
গাজায় নতুন করে হামলা জোরদারের ব্যাপারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা গাজার বাসিন্দাদের ক্ষতি এড়িয়ে চলতে চাই। তবে হামাসকে ধ্বংস করতেই হবে। তাদের কাছে থাকা সব জিম্মিদের ফেরত আনার মিশন পূরণ, হামাসকে নির্মূল ও গাজা যেন ইসরায়েলের জন্য কখনো হুমকি হয়ে না দাঁড়াতে পারে, তা নিশ্চিতে এ যুদ্ধ চালাচ্ছি।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গত শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত গাজায় হামাসের ৪০০ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনারা। রাফা জেলার আবাসিক ভবনে হামলা চালিয়ে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েলের বাহিনী। এছাড়া ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরেও হামলা চালিয়েছে তারা।
পবিত্র আল–আকসা মসজিদের একজন মাওলানার বাড়িতে হানা দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। রোববার অধিকৃত পশ্চিম তীরে শেখ ইকরিমাহ সাবরি নামের ওই ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেওয়া হয়। শেখ ইকরিমাহ সাবরি জেরুজালেমের ইসলামী কাউন্সিলের প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন।
এদিকে গাজার হাসপাতালগুলোর অবস্থা এখন আরও ‘নাজুক’ বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) এক পোস্টে বলেন, শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল নাসের মেডিকেল হাসপাতালে যায়। সেখানে ৩০০ রোগীর জায়গায় ১ হাজারের বেশি রোগী রয়েছে।
কা/আ
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত