সেলাই জননী ও দরজি কন্যা—২ 

  সাহিত্য ও সংস্কৃতি ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২১, ০৮:৪১ |  আপডেট  : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০১

ঝর্না রহমান
-------------------
 

কন্যা পর্ব
 

সেলাইজননীর কন্যা আমি সেলাই শিখে ফেলেছিলাম খুব ছোটবেলায়। প্রথম সন্তান বলে আম্মার সাথে খুব লেপ্টে থাকতাম। আম্মার গৃহস্থালি কাজগুলো দেখতাম খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে। তা ছাড়া শৈশব থেকেই যে কোনো শৈল্পিক কাজের প্রতি আমার অসীম আগ্রহ। তাই ছোট বয়সেই মনোযোগ দিয়ে আম্মার সেলাই করা দেখতে দেখতে ছাঁটকাট শিখে ফেলেছিলাম। আম্মা ছিলেন এমব্রয়ডারির মাস্টার। আম্মার কাছে রঙীন সুতা নিয়ে বসলে সুতা হয়ে উঠতো কালি, সুঁই হয়ে উঠতো কলম আর কাপড় হতো খাতা। কতরকম ফোঁড় শিখেছি! আম্মা ফোঁড়কে বলতেন ফোট আর সেলাইকে বলতেন সিলি। ডাল ফোট, হেম সিলি, বক্কা ফোট, চেইন ফোট, মাছের কাঁটা ফোট, ভরাট ফোট, গিঁট ফোট, কইড়া কুঁচি, হানিকম্ব, গুজরাটি স্টিচ আরও কত নাম, কত ধরন! এমব্রয়ডারি কাজ হয়ে উঠলো আমার কাছে নেশার মত। এক একটা কাজ ধরলে নাওয়া খাওয়া ভুলে যেতাম। রাত জেগে শেষ না করা পর্যন্ত শান্তি হত না।
  
 সেলাই শিখে ফেলার পর আম্মা একটু একটু কাজ আমাকে দিতে লাগলেন। কাপড় ছেঁটে দিলে আমি হাতে সেলাই করতাম। কখনো আম্মা কঠিন জায়গাগুলোতে টাক দিয়ে দিতেন, আমি মূল সেলাইটা দিতাম। আম্মার তৈরি সব পোশাকে বর্ডার দেয়া, বোতাম লাগানো ইলাস্টিক ঢোকানো এসব কাজ করতাম। আম্মার ছাঁটকাটের কাপড় কেটে, ছোট ছোট ব্লাউজ ফ্রক প্যান্ট বানিয়ে পূর্ণাঙ্গ পোশাক তৈরির হাতে খড়ি হল আমার। কিন্তু শুধু মেয়েদের পোশাকে আমার মন ভরে না। মন চায় আমি আব্বার জামকাপড়ও বানাই। ততদিনে সংসারে আমরা পর পর চার বোন ও ছোট দু ভাই। আমার ইচ্ছা করে ভাইদের শার্টপ্যান্ট বানাই। ইজের প্যান্ট বানাতে পারতাম। কিন্তু ইংলিশ প্যান্ট বানাতে পারতাম না। আব্বার শার্ট পাঞ্জাবী এতকাল দরজি দিয়েই বানানো হতো। কিন্তু আমি এসবও বানাতে চাই। চুপি চুপি আব্বার শার্ট, প্যান্ট, কলিদার পাঞ্জাবি~ এসব চৌকির ওপর ভালো করে বিছিয়ে বা পুরোনো শার্টের সেলাই খুলে ছাঁটকাট বুঝে নেয়ার চেষ্টা করে এসবও বানাতে শিখে গেলাম। কিন্তু শার্টের কলার, প্যান্টের বেল্ট, চেন চ্যানেল, কিংবা পাইপিং লেস এসব হাতে সেলাই করলে নিখুঁত হয় না। আব্বার কাছে ঘ্যান ঘ্যান করতে লাগলাম, আব্বা সেলাই মেশিন কিনে দ্যান। আব্বা আমার সেলাই দেখে অবাক হন। ইংলিশ প্যান্টও বানাতে শিখছিস বাবা? আব্বা আমাকে আদর করে কখনো মা বলে ডাকতেন না, বলতেন বাবা! আব্বার আদরভরা ডাক শুনে বুঝলাম, একটা কিছু হবে! একটা কিছু হতে চলেছে!

 একদিন সকালের সূর্যটা জরির পোশাক পরে মাথায় হিরার মুকুট দিয়ে উঠে এলো আমাদের উঠোনে। কী ঝকমকে দিন! চারপাশে একটা পাগলা হাওয়া উল্টাপাল্টা দৌড়ঝাপ করতে লাগলো। ব্যাপার কী? ঝর্নার আব্বা কী নিয়ে এলো এটা? বাপ রে! জাদুর বাকসো নাকি? চকচকে মসৃণ পাতলা বাদামী কাঠের গোলালো ঢাকনার তলায় কী দারুণ একটা জিনিস! ঢাকনার ওপরে নকশা করা ইংরেজি অক্ষরে লেখা সিঙ্গার! সেলাই মেশিন? আমার জন্য সেলাই মেশিন, আব্বা? হ্যাঁ রে বাবা, তোমার জন্য! ছোটবেলা থেকে মুখচোরা শান্তশিষ্ট আমি খুশিতে তখন কী করবো বুঝতে পারছিলাম না। আমার শুধু মনে হচ্ছিল দিনটার গায়ে আলো রঙ ফুল পাখি মোম মধু কী কী সব জড়িয়ে যাচ্ছে! সোনালি কটকটির মত চকচক করে উঠছে। দুধের মত জমাট বেঁধে খির হয়ে যাচ্ছে। অন্যরকম দিন! যেন চেটে চেটে খাওয়া যাবে! আহ!
 
আব্বা সেলাই মেশিনের কলকব্জা ফিট করেন। ম্যানুয়েল খুলে পড়ে পড়ে বুঝিয়ে দেন কীভাবে সেলাই করতে হবে। মেশিনের সঙ্গে আব্বা এনেছেন কালো ছিটের এক গজ পাতলা কাপড় আর দুটো সুতোর রিল। সে মেশিনে এমব্রয়ডারিও করা যায়। তার জন্য কয়েক লাছি ডিএমসি সুতোও এনেছেন আব্বা। একসাথে এত কিছু পাওয়ার আনন্দে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছি। জুলজুল চোখে কেবল মেশিনটা দেখছি। আম্মা কেন যেন একটু গম্ভীর গলায় বললেন, কত টাকা লাগলো গো মেশিন কিনতে? এই মাসে দোকানের বাকি আছে মনে আছে? আব্বা বললেন, চিন্তা কোরো না, কিস্তিতে কিনেছি। সেটা ছিল ১৯৬৯ সাল। মেশিনের দাম তিনশ টাকা। কিস্তিতে দাম পরিশোধ করতে হবে বলে পঁয়তাল্লিশ টাকা বেশি দিতে হবে। আব্বা বললেন, ন্যাও এখন কত জামাকাপড় বানাবা বানাও। আম্মা কৃত্রিম মুখ ঝামটা দিয়ে বললেন, হুহ্, এতকাল হাতে সেলাই করতে করতে চক্ষু ক্ষয় করে ফেললাম! এখন মেয়ে সেলাই শিখল বলে ঘরে মেশিন আসলো। মেয়ের জন্য মেশিন আনছো মেয়েই এখন জামাকাপড় বানাবে! আমার ছুটি। সত্যিই, সেদিন থেকে আমি হলাম সেলাই জননীর দরজি কন্যা। মাত্র সাড়ে নয় বছর বয়সে আব্বার কাছ থেকে পাওয়া সেই সেলাই মেশিন ছিল আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার।
  
 মেশিন আসার পরে সেলাইয়ের উৎসাহ বেড়ে চতুর্গুণ হয়ে গেল। সারাদিন এটা সেটা বানাই। সবচেয়ে ভালো লাগে আমার বোনদের জন্য নানা ডিজাইনের জামা বানাতে। আম্মার গুণ আমার মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছিল। চলতি ফ্যাশন ছাড়াও নিত্য নতুন ডিজাইন উদ্ভাবন করতাম আমি। রাউন্ড কাট, ভি কাট, স্কয়ার কাট, পানপাতা কাট, গম্বুজ কাট, নৌকা শেপ ~ নানারকম গলা, গলায় নানা ছাঁদের কলার, নানা ডিজাইনের হাতা, নানা ডিজাইনের কুচি লেস ফ্রিল, এক ছাঁট, দুই ছাঁট, তিন ছাঁট, ছয় ছাঁট নানা ছঁটের ঘের..... ডিজাইনে ডিজাইনে প্রত্যেকটা জামাকাপড় অভিনব হয়ে উঠতো। তা ছাড়া এমব্রয়ডারিতে পারদর্শিতার ফলে শুধু জামা বানিয়ে মন ভরতো না। এক রঙা কাপড় হলেই তার মধ্যে এমব্রয়ডারি করার নেশা আমাকে পেয়ে বসলো। স্বপ্নেও দেখতাম কাপড় বানাচ্ছি আর এমব্রয়ডারি করছি।

 
একদিন ঘুম ভাঙলো স্বপ্নে একটা ডিজাইন আঁকছি দেখতে দেখতে। তখন সবে ভোর হয়েছে। স্বপ্নে দেখা ডিজাইনটা তখনও আমার চোখের ওপর জ¦লজ¦ল করছে। দ্রুত একটা কাগজে সেই স্বপ্নে পাওয়া ডিজাইন এঁকে ফেললাম। তারপর নিজেই অবাক হয়ে দেখতে লাগলাম! এ ডিজাইন স্বপ্নে পেয়েছি! তখন নিতান্ত বালিকা আমি, স্বপ্নে প্রাপ্ত ওষুধ, স্বপ্নে পাওয়া বাণী এসবের বিশ্বাসে রোমাঞ্চিত মন। ভাবলাম, এ ডিজাইনটা একটা পয়মন্ত ডিজাইন। নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাকে এটি দিয়েছেন চর্চা করার জন্য, তা হলে আরও ভালো সেলাইশিল্পী হতে পারবো আমি। কিন্তু সেটা সেলাই করার মত সুতা কাপড় কিছুই তখন সংগ্রহে নেই। তাতে কী। আম্মার একটা আধা পুরোনো একরঙা হলুদ শাড়ি ছিল। আর পাওয়া গেল কালো লাছি সুতো। তাই দিয়ে ঘণ্টা দুয়েক চোখ পেতে রেখে সেলাই হয়ে গেল সেই ডিজাইন। আলনাতে শাড়িটাকে কায়দা করে ভাঁজ করে রেখে আমি নানা দূরত্বে দাঁড়িয়ে নিজের করা সেই সূচিশিল্প দেখি। দেখে দেখে আশ মেটে না। একদিন আব্বাকে বললাম চার বোনের জামার জন্য লাল রঙের কাপড় এনে দিতে। লাল ফ্রকে গলায় হাতায় আর কোমরে কালো সাদা পাইপিং দিয়ে ফ্রক বানালাম, সেই ফ্রকের বুকে বুকে উড়তে থাকলো আমার এমব্রয়ডারি করা বলাকার সারি। এক একটা জামায় বলাকার পাখার এক একরকম ছন্দ! স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যেকের কাছেই নিজেরটার চেয়ে অন্য বোনের জামার ডিজাইন বেশি ভালো লাগে! তবে, এটা তো সত্য যে সবচেয়ে সুন্দর ডিজাইনটা আমি নিজের জামাতেই করেছিলাম! 


 
সেলাই মেশিনের দোহাই দিয়ে এক একটা ঈদে আমার পাশে পাড়াপড়শির কাপড়চোপড়ের পাহাড় জমতে লাগলো। আমাদের সংসারেও তখন জামকাপড়ের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। আব্বা একবার মশারির নেট কিনে নিয়ে এলেন। তৈরি মশারির চেয়ে গজ কাপড় কিনলে একটু সস্তা পড়ে, তা ছাড়া আমরা অনেকগুলো ভাইবোন, পাশাপাশি বড় বড় দুটি চৌকি পেতে আমাদের বিছানা। সেই বিছানার সাইজের মশারি বাজারে পাওয়া যায় না। অতএব বানালাম মশারি। এ আর এমন কী! কিন্তু নাম ছড়িয়ে পড়লো আমার। বাপরে! এই বয়সেই এমন দরজি, মাথার টুপি থেকে বিছানার মশারি সব বানাতে পারে!
  
স্বাধীনতার আগে একবার আব্বার সাথে আমার হারুন মামার বাসায় বেড়াতে গেলাম। হারুন মামারা থাকেন মতিঝিল কলোনিতে। মামী আমাকে দেখে খুশি হয়ে বলে ওঠেন, ঝর্না, তুমি এসেছো, ভালই হল, তোমাকে দিয়ে মিনি সুরাইয়ার জামা দুটো বানিয়ে রাখা যাবে। ওঁরা দুজন মামীর ছোট বোন। আমার খালাম্মা। দুজনেই তরুণী, তখনও অবিবাহিতা। তবে দুজনই মাশাল্লাহ মোটাতাজা। সুরাইয়া খালাম্মাকে তো মামা ঠাট্টা করে ডাকেন হস্তিনী শ্যালিকা। খালাম্মাদের জন্য লাল রঙের কর্ড কাপড় কেনা হয়েছে। চৌকির ওপরে বসেছি দুই খালার জামা ছাঁটতে। মামী নিয়ে এলেন বিশাল একটা কাপড়ের বান্ডিল। সেটা নিয়ে আমি অবাক হয়ে বলি, এত কাপড়? মামী বলেন, ওদের স্বাস্থ্য তো একটু...দুজনের জামার জন্য কেনা হয়েছে। একটু বেশিই আছে। ছাঁটো, কাপড় বাঁচলে সেটা দিয়ে তুমিও একটা বানিয়ে ফেলো। শুনে আমি খুশিতে বাকবাকুম। মনে মনে ভেবে ফেললাম, কাপড় তো থাকবেই! এত কাপড় দিয়ে কী হবে! বেশি থাকলে আমি জামার সাথে পাজামাসহ একটা পিআইএ সেট বানিয়ে ফেলবো। ঐ সেট বানাতে পাজামাতে কম কাপড় লাগে। কিন্তু দারুন ফ্যাশনেবল। আমি তখন দশ বছরের ছিপছিপে বালিকা। নিজের জামার একটা শেপ আমার মুখস্থ হয়ে গেছে। সুরাইয়া খালাম্মার জামার মাপ দেয়ার জন্য কাপড় বিছিয়ে তার ওপরে তাঁর একটা কামিজ মেলে ধরলাম। পেনসিল দিয়ে দাগ কেটে মাপের জামা সরিয়ে দেয়ার পর তাতে কাপড়ের যে বেড় এলো তা দেখে আমার বিশ্বাস হয় না, সত্যি এতখানি কাপড় লাগে একটা জামায়! আমি বারবার মাপ দিই, ওপর থেকে নিচে, নিচ থেকে ওপরে। যাই হোক, মাপটাপ দিয়ে জামা ছেঁটে ফেলার পর মনে হল, এ জামা কোনো পৃথিবীর মানুষের নয়, দৈত্যের দেশের! অবশ্য ভাবনাটাকে একটুও বুঝতে দিইনি। পাগল নাকি আমি? সেবার দুই খালাম্মার জামা ছেঁটে অল্পই কাপড় ছিল। তাতে আমার হাতা ছাড়া একটা কামিজ হল। তাও লম্বায় কম। বুদ্ধি করে নিচের অংশে সাদা কাপড় জুড়ে দিলাম আর সাদা পাইপিং বর্ডার দিলাম গলায় ও হাতায়। 
  
ঈদের সময় জামা বানাতে গিয়ে একটানা সেলাই মেশিনের হাতল ঘুরিয়ে আমার হাতের গোড়া ব্যথা হয়ে যেত। তখন ভাইবোনের কেউ বসে হ্যান্ডেলটা ঘুরিয়ে দিত। কিন্তু তাতে সেলাইয়ের ছন্দ যেত নষ্ট হয়ে। সুতো ছিঁড়তো, সুঁই ভাঙতো। তার চেয়ে নিজে করা ভালো। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেলাইয়ে বসে থেকে আমার পা ব্যথা হত খুব। তখন আমি বালিকা থেকে কিশোরী হয়ে উঠছি। শরীরে বাড় লেগেছে। হাড়গুলো ধাঁই ধাঁই করে লম্বা হয়ে যাচ্ছে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পড়ে যায়। পা কামড়াতো খুব। পায়ের ব্যথা কমাতে দুই পায়ে টাইট করে দড়ি পেঁচিয়ে রাখতাম। দড়ি খোলার পরে পায়ের নলিতে রক্ত জমাট বাঁধা জ্যামিতিক নকশা দেখেও এক ধরনের আনন্দ হত। আম্মাকে দেখাতাম। আম্মা দেখেন, পায়ের অবস্থা! আম্মা বলতেন, তোরই তো দোষ! এক সাথে দুনিয়ার জিনিস বানাতে বসছিস।
 
যৌবনে আব্বা সব সময় সাদা ফুল শার্ট পরতেন। সেই শার্টের বোতামের চেম্বার পাঞ্জাবির মত গলা থেকে বুক পর্যন্ত নামানো। তবে শেষ অংশে একটা ভাঁজ থাকতো। মাথার ওপর দিয়ে পরতে ও খুলতে হতো সেই শার্ট। আব্বা বলতেন হাওয়াই শার্ট। একবার আমি আব্বার হাওয়াই শার্ট বানালাম। আব্বাই কলারের ভেতরে দেবার জন্য বকরম কাপড় কিনে দিলেন। কলারের কোনা, বোতাম চেম্বারের সেই কুচি আর পকেটের নিচের দিকটাতে দু কোনা ভাঁজ করে ঢুকিয়ে সেলাই ~ এগুলো ছিল সাংঘাতিক ক্যারিশমাটিক কাজ। ঘাম বের হয়ে যেত। আব্বা জামা গায়ে দিয়ে এদিক ওদিক টানেন আর অবাক চোখে আমাকে দেখেন। আব্বার গলায় কবুতর বুলবুলি ঘুঘু কত কি? আম্মাকে ডাকেন, কই গেলা, দেখ, ঝর্না তো দরজিদের মতই হাওয়াই শার্ট বানিয়েছে! আম্মাও খুশি। তাঁর চোখ বলে, দেখতে হবে না কেমন দরজি মায়ের মেয়ে এটি! 

(চলবে)

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত