সুন্দরবন খুলে দেওয়ার ১ম দিনেই মাছ ধরতে গেল হাজারো জেলে

প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:০৭ | আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:০২

৩ মাস পর বিশ^ ঐতিহ্য সুন্দরবন খুলে দেওয়র প্রথম দিনেই সুন্দরবনে মাছ ধরতে রওনা হয়েছেন বাগেরহাট জেলার এক হাজার জেলে। শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে অনুমতিপত্র (পাসপারমিট) নিয়ে সোমবার (১ সেপ্টম্বর) সকাল থেকে প্রথম দিন এসব জেলেরা সুন্দরবনে রওয়ানা হয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া যে সকল জেলে এখনো তাদের জাল-নৌকা মেরামত সম্পন্ন করতে পারনেনি তারা পরবর্তীতে পাস সংগ্রহ করে রওনা হবেন বলে জানিয়েছে জেলেরা।
শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা যায়, অনুমতিপত্র প্রদানকালে অভয়ারণ্যে প্রবেশ না করা, কোনো ধরণের বিষাক্ত দ্রব্য ব্যবহার না করা, পলিথিন বা প্লাস্টিক বর্জ্য নদী ও বনে না ফেলা এবং বনের অন্য কোনো বনজ সম্পদের ক্ষতিসাধন না করার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জেলেদের। এছাড়া বন ও বনদস্যুদের আক্রমণের শিকার হলে জেলেরা যাতে দ্রুত জানাতে পারেন সেজন্য সকল স্টেশন ও টহল ফাঁড়ি অফিসের মোবাইল নম্বর তাদের কাছে দেওয়া হয়েছে। পাশাপশি জেলেদের নিরাপত্তায় স্মর্ট পেট্রলিং টিম ও বনরক্ষীদের নিয়মিত টহল পরিচালিত করার কথা জানিয়েছেন বনবিভাগ।
প্রথম দিন বনে যেতে পারেননি এমন জেলেদের মধ্যে শরণখোলা সাউথখালী ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের ছগির বয়াতী, সোনাতলা গ্রামের লালমিয়া এবং কামাল তালুকদার জানান, তারা এখনো নৌকা প্রস্তুত করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। ২-১ দিনের মধ্যে তাদের নৌকা মেরামত সম্পন্ন হওয়ার কথা তারা জানিয়েছেন। তবে জেলেরা অভিযোগ করেছেন, নতুন করে বেশ কয়েকটি দস্যু বাহিনী বনে ঢুকে পড়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে এসব বাহিনী জেলেদের অপহরণ ও নির্যাতন করতে পাওে বলে এখন তারা সেই ভয়ে আছেন।
সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. খলিলুর রহমান বলেন, এই স্টেশন দিয়ে প্রথম দিনে ২৫০টি নৌকায় পাস পারমিট দেওয়া হয়েছে। একেকটি নৌকায় গড়ে দুই-তিন জন করে মোট ৬০০ জেলে বনে প্রবেশ করেছেন। শরণখোলার সুন্দরবন কেন্দ্রিক জেলের সংখ্যা তিন সহা¯্রাধিক। অনেকেই এখনো জাল-নৌকা প্রস্তুত করতে পারেননি। প্রস্তুত হলেই তারা দু-একদিনের পর আবার অনেকে আগামী গোনে বনে যেতে পারেন।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব বলেন, জেলেরা যাতে বনের পরিবশের ক্ষতি ও কোনো ধরণের অপরাধে জড়িত না হয় সেজন্য তাদের সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া বিপদ এড়াতে প্রত্যেক জেলে নৌকায় সংশ্লিষ্ট স্টেশন ও টহল ফাঁড়ি অফিসের মোবাইল নম্বন দেওয়া হয়েছে। জেলেদের মধ্যে দস্যুভীতি দেখা গেছে। তাই জেলেদের ও পর্যকটদের নিরাপত্তা এবং দস্যুদের অপতৎপরতারোধে কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত