সিরাজদিখানে অভিযান চালিয়ে সচেতন করেও থামানো যাচ্ছে না মানুষকে
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২১, ১৬:০২ | আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৯
মুন্সীগঞ্জে সিরাজদিখানে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অভিযান আর সেনাবাহিনী,বিজিবি,র্যাব ও পুলিশের সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পরেও কোনভাবেই মানুষকে রাস্তায় বের হওয়া থেকে আটকানো যাচ্ছে না। কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। একদিকে প্রশাসনের অভিযান চললে অন্যদিকে বন্ধ হয়ে যায় দোকান। আবার অভিযান চালিয়ে চলে যাওয়ার পর আবারও দোকান খুলে চলে বেচাকেনার প্রতিযোগীতা।
অন্যদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ,বিজিবির সদস্যরা রাস্তায় দাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরা, মাইকিংসহ নানাভাবে সচেতন করেও তাদের আটকাতে পারছেন না। বিভিন্ন অজুহাতে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে মানুষ। আর এতে করে করোনাভাইরাসের সংক্রমন রোধে ঈদের পর শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধের সপ্তম দিনে সিরাজদিখান বিভিন্ন বাজারে,রাস্তায় যান চলাচল বাড়ার সাথে সাথে দোকান খোলার পরিমানও বেড়েছে। বিশেষ করে শহরের ভিতরের রাস্তা সংলগ্ন দোকানিরা দিনভর দোকানের অর্ধেক খুলে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে বেচাকেনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে শহরের প্রানকেন্দ্র উপজেলা মোড় তুলনামূলক ফাঁকা থাকলেও এর আশপাশের সড়কগুলোতে নির্বিগ্নেই চলছে রিক্সা, অটো ইজিবাইক, সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহন। অথচ কঠোর লকডাউন বিধিনিষেধ কার্যকর করতে বিভিন্ন রাস্তায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট,পুলিশ,বিজিবির সদস্যরা ছিল তৎপর। তবে কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। সরেজমিন দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সিরাজদিখানের সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশের দোকানে খুলে চলছে বেচাকেনা।
বিশেষ করে সিরাজদিখান থানার মোড়, ইছাপুরা চৌরাস্তা,ইছাপুরা হাসপাতাল রোড,শুলপুর সাববাড়ি, জৈনসার তেমনি মার্কেট,মধ্যপাড়া বাজার, রাজানগর, নিমতলা, ইমামগঞ্জ এলাকায় দোকান খুলে চলছে বেচাকেনা। অনেক দোকানের সামনে যানবাহন রেখে পন্য ওঠানামা করতে দেখা গেছে। অথচ এসব দোকানে কোন জরুুরি পন্যই বিক্রি করছে না।
কঠোর লকডাউনের সপ্তম দিনে রাস্তাগুলোতে যানবাহনের চলাচল ছিলগত কয়েক দিনের তুলনায় বেশি। বিশেষ করে চার্জার রিক্সা, ভ্যান, সিএনজি রিক্সা, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গারি,পন্যবাহী পিকআপ ছিল শহরের রাস্তায় রাস্তায়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত