শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললে আন্দোলনের হুমকি শিক্ষার্থীদের
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২১, ১২:৪৫ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৪
করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের মার্চ মাস থেকে বন্ধ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল-ক্যাম্পাস দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সেশন জট, পরীক্ষা, ল্যাব-ক্লাস, চাকরির ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া, অর্থনৈতিক সংকট শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক চাপ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি করছে।
ফলে শিক্ষার্থীদের ছাত্র পরিচয়ের সংকট তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ আবার বেছে নিচ্ছে আত্মহত্যার পথ। তাই, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল ও ক্যাম্পাস খুলে দিতে হবে। তা নাহলে দেশজুড়ে শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনে নামবে।
সোমবার (২৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীরা এসব দাবি জানান। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস ও হল বন্ধ থাকায় বিভিন্ন কারণে আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছি। আমাদের মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। তাই হল-ক্যাম্পাস খুলে দিন, নয়ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করে আমাদের দড়ি দিন। সেই দড়ি গলায় দিয়ে আমরা আত্মহত্যা করব।
তারা বলেন, করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে জন্ম নিয়েছে অশিক্ষা, অনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপের প্রবণতা। দীর্ঘদিন দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় উচ্চশিক্ষায় নেমে এসেছে স্থবিরতা। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা। এদের মধ্যে কেউ ছাত্র পড়িয়ে, কেউ বা পার্টটাইম কাজ করে পড়াশোনার খরচ জোগাড়ের পাশাপাশি বাড়িতে টাকা পাঠিয়ে পরিবারের সদস্যদের ভরণ পোষণের দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে থাকায় শিক্ষার্থীরা যেমন আর্থিক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন, তেমনি তাদের পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সরকার শিক্ষার্থীদের অনলাইন ভিত্তিক পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দিলেও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীরা ল্যাপটপ ও ব্যয়বহুল ইন্টারনেটের কারণে ক্লাসগুলো অংশ নিতে পারছেন না। আবার স্কুল-কলেজের শিশু শিক্ষার্থীরা ডিভাইস ব্যবহারে আসক্ত হয়ে পড়ছে। অনেকে বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধে নিজেদের জড়িয়ে ফেলছে। এতে সামাজিক অবক্ষয় বাড়ছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত