লৌহজংয়ে সামাজিক সম্প্রীতিতে উদ্বুদ্ধ করতে শিক্ষার্থীদের প্রজেক্ট হিলশায় মিলনমেলা
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:০১ | আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯
সামাজিক সম্প্রীতি বাড়াতে ২৬০ শিক্ষার্থীকে দামি রেস্তোরাঁয় চায়নিজ খাবার খাওয়ানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে প্রজেক্ট হিলশা রেস্তোরাঁয় এর আয়োজন করে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত খলিলুল রহমান আইডিয়াল স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে খলিলুল রহমান আইডিয়াল স্কুলের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান রিপন মৃধা জানান, শিক্ষার্থীদের মানসিকতা বিকাশে পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীর সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা উচিত বলে আমি মনে করি। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন তৈরিতে ভূমিকা রাখে।’ আমরা বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন, বনভোজন এবং বছরে অন্তত একবার কোন দামি রেষ্টুরেন্টে সব শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকদের নিয়ে এরকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকি। এতে সংশ্লিষ্ট সবার অংগ্রহণের মাধ্যমে একে অপরের সাথে সম্প্রীতির বন্ধন ঘটে।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এইচ এম নাসির উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ে নানা শ্রেণিপেশার অভিভাবকদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতি বাড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ায় উৎসাহিত করার জন্য বছরে একটি দিন দামি রেস্তোরাঁয় খাবার খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ প্লে গ্রুপ থেকে পঞ্চম শ্রেণির ২৬০ শিক্ষার্থী ও ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মায়েদের চায়নিজ খাবার খাওয়ানো হয়েছে। শনিবার (আগামীকাল) ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির ২৭৫ শিক্ষার্থীকে একই রকমের খাবার খাওয়ানো হবে।
এই ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মায়েরাও এসেছিলেন রেস্তোরাঁয়। তাঁরা সন্তানকে টেবিল চামচ ও কাটা চামচ দিয়ে চায়নিজ খাবার খেতে সহযোগিতা করেন।
মায়ের সঙ্গে আসা তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সিদরাতুল মুনতাহা দামি রেস্তোরাঁয় খেতে পেরে খুব ভালো লাগছে বলে জানায়। চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল আক্তার সোয়াইবা জানায়, এমন দামি রেস্টুরেন্টে খেতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে। পঞ্চম শ্রেণির হাফসা ফারুকী জানায়, দলবেঁধে বন্ধুদের সাথে খেতে আসার মজাই আলাদা। তাও আবার চায়নিজ খাবার। প্লে শ্রেণি পড়ুয়া তালহার আম্মু রুমি আক্তার এমন নামিদামি রেস্টুরেন্টে মেয়েকে খাওয়াতে পারবেন বলে কখনও ভাবেননি বলে জানান।
প্রধান শিক্ষক সিরাজ মোল্লা বলেন, সামাজিক সম্প্রীতি শেখানোই এ প্রীতিভোজের মূল উদ্দেশ্য। তিনি আরও জানান, এবার থেকে প্রতি বছর এটি চালু থাকবে। এ ছাড়া বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম থেকে দশম স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি দুই মাস অন্তর এমন দামি রেস্তোরাঁয় খাবার খাওয়ানো এবং দামি উপহার দেওয়া হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত