রাশিয়ার আর বড় আক্রমণের শক্তি নেই: ইউক্রেন
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৩, ১২:১৪ | আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪
রুশ বাহিনী বড় পর্যায়ের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিতে সক্ষমতা হারিয়েছে, এমন দাবি করে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিভাগ বলছে, তারা এখন প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে আছে। খবর সিএনএনের
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিভাগের মুখপাত্র আন্দ্রি ইউসভ সোমবার ইউক্রেনের একটি সম্প্রচারমাধ্যমকে বলেন, বড় ধরনের আক্রমণ চালানোর রসদ নেই রাশিয়ার। ইউক্রেনের দিকে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অবস্থান বদলেছে। শীতে তারা আমাদের জ্বালানি ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় তীব্র হামলা চালিয়েছিল। এরপর থেকে তাদের সক্ষমতা কমেছে।
যুদ্ধের শুরুর দিকে কিয়েভ, খারকিভ, বোচা, মারিউপোলে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে রুশ বাহিনী। ধ্বংস হয়ে যায় বহু আবাসিক ভবন। এসব হামলায় ‘কালিবার’ ক্ষেপণাস্ত্রের নামটি সবচেয়ে বেশি এসেছে আন্তর্জাতিক মাধ্যমে। সরবরাহ এবং উৎপাদনের সক্ষমতা কমে আসায় রুশরা কয়েক ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র সংকটে ভুগছে। এর মধ্যে কালিবারের ঘাটতি সবচেয়ে বেশি বলে মনে করেন ইউক্রেনের এই মুখপাত্র।
সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের দেশে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বাড়াতে প্রতিনিয়ত উপায় খুঁজছে। ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকেও অস্ত্রের সন্ধান চালাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সফল হয়নি শত্রুরা।
তার মতে, এখনও এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্রের বড় একটি মজুত থাকায় আক্রমণের তীব্রতা চালিয়ে যেতে পারছে রাশিয়া। এস-৩০০ দিয়ে ক্ষয়ক্ষতি বাড়ানোর সক্ষমতা রাখে রাশিয়া।
এমন সংকটেও রাজধানী ছাড়াও কোথাও না কোথাও প্রতিদিনই হামলা চালাচ্ছে মস্কো বাহিনী। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির খবর আসছে প্রতিনিয়ত। প্রাণহানিও থেমে নেই। এখন পর্যন্ত হাজার হাজার ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছেন রুশ হামলায়। পুতিনের এই আগ্রাসন বন্ধে প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতিও নিচ্ছে কিয়েভ। এরই অংশ হিসেবে গত কয়েকদিনে রুশ সামরিক স্থাপনায় হামলা জোরদার করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত