রাজধানীতে রিকশা চলাচল ও কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে গেছে
প্রকাশ: ৬ জুলাই ২০২১, ১৩:১৪ | আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৮
লগডাউনে ষষ্ঠ দিনে রাজধানী ঢাকার সড়কগুলোতে ব্যস্ততা বেড়েছে। গত পাঁচ দিনের তুলনায় আজ মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সড়কে কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা কিছুটা বেশি দেখা গেছে। ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে যানজটও লক্ষ্য করা গেছে। ব্যস্ত সিগন্যালগুলোতে দুই থেকে পাঁচ মিনিট, ক্ষেত্র বিশেষে তারও বেশি সময় লাগছে; যা গত কয়েকদিন দেখা যায়নি। নগরীর কয়েকটি চেকপোস্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর নজরদারিও কিছুটা কম দেখা গেছে। তবে কিছু চেকপোস্টে কড়াকড়ি ছিল চোখে পড়ার মতো।
সকালে খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় অন্যান্য দিনের মতো সেখানে কোনও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর কোনও সদস্য দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি। সেখানে দেখা যায়, রিকশা আর ভ্যানে করে মানুষ নিজের গন্তব্যে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারী। লকডাউনের শর্ত অনুযায়ী এসব কর্মীদের জন্য নিজস্ব যানবাহনের ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও কোনও প্রতিষ্ঠানই তা করেনি। ফলে রিকশা বা হেঁটেই তারা গন্তব্যে যাচ্ছেন।
একই চিত্র বাসাবো ও মানিকনগর এলাকার। এখানকার অধিকাংশ কর্মজীবী মানুষ মতিঝিলের বিভিন্ন অফিসে চাকরি করেন। এসব এলাকায় রিকশা ও ভ্যানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িও দেখা গেছে। এর অধিকাংশ চালক ও যাত্রীদের দাবি তারা চিকিৎসা অফিস ও জরুরি কাজে বাসা থেকে বের হয়েছেন। খিলগাঁও খিদমাহ হাসপাতাল সংলগ্ন চেকপোস্টেও তেমন একটা কড়াকড়ি দেখা যায়নি। চেকপোস্টটির পাশের যাত্রী ছাউনিতে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে বসে থাকতে দেখা গেছে। এর মধ্যেই বিপুল সংখ্যক রিকশা, সিএনজি ও মটরসাইকেল যাতায়াত করছে।
সকাল থেকে নগরী ফকিরাপুল, রাজারবাগ, মালিবাগ, চৌধুরী পাড়া, বাড্ডা, দৈনিক বাংলা, বাংলা মোটর, কারওয়ান বাজার, মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকাতেও এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব এলাকায় ব্যক্তিগত বাহনের পাশাপাশি মানুষের উপস্থিতিও বেশি দেখা গেছে। অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অফিসে যাওয়ার জন্যই তারা বাসা থেকে বের হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেছেন, কয়েকদিন কর্ম না থাকার কারণে বাসায় খাবার ফুরিয়ে গেছে। সে কারণে তারা কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত