রাখাইনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৩ | আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:০৫
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আবারও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষীরা সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি, সেটি হঠাৎ করে হয়নি। এটি আরও কয়েকদিন আগে থেকে হয়েছে। আমাদের সীমান্তরক্ষীরা অনেক আগে থেকেই সেখানে সতর্ক রয়েছে। সেখানে কিছুদিন পরপরই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এদিন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের চার সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান।
মিয়ানমারের বিষয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের চার সদস্যের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়েছি। তারা আমাদের সঙ্গে আছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে যদি মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয় তাহলে তারা তাদের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মানবতার কারণে রোহিঙ্গাদের তখন স্থান দিয়েছিলাম। যেসব রোহিঙ্গা নাগরিক আমাদের দেশে এসেছে তাদের কারণে আমাদের নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। এটি নিয়ে আমরা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের দলের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের এখানে নিরাপত্তা ও পরিবেশগত সমস্যা তৈরি হয়েছে। এছাড়া সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাদের সদস্য রিক্রুট করার চেষ্টা করে। তারা আমাদের জন্য নানা সমস্যা। আমাদের দেশ জনবহুল, রোহিঙ্গাদের জন্য আমরা ভারাক্রান্ত। প্রতিবছর ৩৫ হাজার করে নতুন রোহিঙ্গা সন্তান জন্মগ্রহণ করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (ব্রিটিশ পার্লামেন্টের চার সদস্য) বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করার জন্য সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছেন। আমাদের দেশে আরও ইনভেস্টমেন্ট বাড়ানোর জন্য তাদেরকে আমি অনুরোধ করেছি। বিশেষ করে আইসিটি ও এগ্রিকালচার সেক্টরে ইনভেস্টমেন্টের যে সম্ভাবনা আছে, সেটির কথা বলেছি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকার আপিলের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইসিজে যে রায় দিয়েছে সেটাকে আমরা স্বাগত জানাই। দক্ষিণ আফ্রিকার আপিল আমরা ইতোপূর্বে সমর্থন জানিয়েছি। ভবিষ্যতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে যদি আরও সমর্থন দিতে হয় সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রস্তুত আছে। ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা হচ্ছে, সেটিও আইসিজের রায়ে বলা হয়েছে। সেখানে গণহত্যা হচ্ছে এবং সেটি বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। এই রায় ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা হচ্ছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, সেটি বন্ধ করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত