রসগোল্লা সমাচার
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৪২ | আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০
রসোগোল্লা কম বেশি সকলেই প্রিয়। রসগোল্লা ছাড়া বাঙালি ভোজ অসম্পূর্ণ। তবে ঠিক কবে থেকে রসোগোল্লার যাত্রা শুরু হয়ছিল আর কেইবা প্রথমে রসগোল্লা তৈরি করল!
নবীনচন্দ্র দাস (১৮৪৫-১৯২৫) ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ বাঙালি মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারক, উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ী। ঊনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ও বিশ শতকের শুরুতে বাংলার সংস্কৃতিতে তথা বাঙালির জীবনে তার তৈরি মিষ্টান্ন জনপ্রিয়তার কারণে বিশেষ স্থান অধিকার করে। তিনি বাংলার অতি জনপ্রিয় মিষ্টান্ন রসগোল্লার উদ্ভাবক হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন। নবীনচন্দ্র দাসের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলের ভারতের রাজধানী কলকাতা শহরে। বাংলা সংস্কৃতি ও সমাজে নবীন চন্দ্র দাসের প্রধান অবদান ছিল তার উদ্ভাবনী মিষ্টান্ন। বাঙালির জন্য তার উদ্ভাবিত অভিনব মিষ্টান্ন বিশেষ খ্যাতি অর্জন করে। তার তৈরি মিষ্টান্ন আজকের বাঙালি রসনায় এক গুরুত্বপূর্ণ ও শেষপাতের আবশ্যিক সংযোজন ও পরিবেশন - ব্যাপকভাবে পরিচিত "রসগোল্লা"। ঊনিশ শতকের বাংলায় এই জনপ্রিয় মিষ্টান্ন, সৃষ্টিকর্তা হিসেবে তাঁকে রসগোল্লার কলম্বাস বা রসগোল্লার জনক হিসাবে চিহ্নিত করেছে। তার অন্যান্য সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে "আবার খাবো", "দেদো সন্দেশ" এবং "বৈকুন্ঠ ভোগ" (উভয়ই "কাঁচা পাক" বেস উপাদান হিসাবে ব্যবহার করে), সুপরিচিত "কস্তুরি পাক" "আতা (কাস্টার্ড আপেল) সন্দেশ" এবং "কাঠাল (কাঁঠাল) সন্দেশ"।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত