মারা গেলেন ‘দিদি তেরা দেবর দিওয়ানা’ গানের স্রষ্টা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২১, ০৯:২৮ |  আপডেট  : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০

বলিউডের জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক রামলক্ষ্মণ মারা গেছেন।  শনিবার হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে নাগপুরে তাঁর বাড়িতে মারা যান এই সংগীত পরিচালক। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তাঁর ছেলে অমর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় গণমাধ্যমকে। 

অমর জানিয়েছেন, তাঁর বাবা শনিবার মারা যান। হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। কয়েক দিন আগেই করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি খুব দুর্বল ছিলেন। তবে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন এই সংগীত পরিচালক।

ভারতীয় তারকারা এই সংগীত পরিচালকের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন। বিশেষ করে সালমান খান টুইটারে শোক প্রকাশ করেছেন। আশি ও নব্বই দশকের অনেক জনপ্রিয় ছবির গানের পেছনের কারিগর ছিলেন রামলক্ষ্মণ। বলিউডের তারকা অভিনেতা সালমান খান অভিনীত ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’সহ জনপ্রিয় অনেক ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি। সালমান খানের সঙ্গে তিনি বেঁধেছিলেন অসাধারণ জুটি।

সালমানের হিট ছবি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবির সংগীত পরিচালক ছিলেন রামলক্ষ্মণ। ‘দিল দিওয়ানা’সহ এই ছবির প্রতিটি গান এখনো দর্শকদের মুখে মুখে। এই ছবি দিয়ে শুরু এই জুটির পথচলা। এরপর ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘পাত্থরকে ফুল’, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’-এর মতো সালমান খানের জনপ্রিয় সব ছবিতে সংগীত পরিচালনা করতে দেখা গেছে রামলক্ষ্মণকে।

টুইটারে সালমান খান শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘সংগীত পরিচালক রামলক্ষ্মণ চলে গেলেন। আমার অনেক জনপ্রিয় ছবি, “ম্যায়নে পেয়ার কিয়া”, “পাত্থর কে ফুল”, “হাম সাথ সাথ হ্যায়”, “হাম আপকে হ্যায় কৌন”–এর সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। পরিবারের প্রতি রইল আমার সমবেদনা।’

ভারতীয় সংগীত তারকা লতা মঙ্গেশকর শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘মাত্র জানলাম অসম্ভব মেধাবী ও জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক রামলক্ষ্মণজি মারা গেছেন। তাঁর চলে যাওয়ায় খুব খারাপ লাগছে। তিনি অসাধারণ একজন মানুষ ছিলেন। তাঁর পরিচালনায় আমার গাওয়া অনেক গান জনপ্রিয় হয়েছিল। তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।’

লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া ‘দিদি তেরা দেবর দিওয়ানা’ ‘কবুতর যা যা যা’সহ বেশ কিছু গান রামলক্ষ্মণের পরিচলনায় ছিল।

রামলক্ষ্মণ হিসেবে পরিচিত হলেও তাঁর আসল নাম বিজয় পাতিল। মূলত তাঁরা দুই বন্ধু বলিউডে রামলক্ষ্মণ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কাজ করতেন এই নামে। তাঁর বন্ধু সুরেন্দ্র মারা যান ১৯৭৬ সালে। বিজয় পরিচিত হন লক্ষ্মণ নামে, সুরেন্দ্র ছিলেন রাম। বন্ধু মারা গেলেও তিনি নিজের নামে কাজ করেননি। রামলক্ষ্মণ নামেই কাজ করে গেছেন বন্ধুকে সম্মান জানাতে।

হিন্দি, মারাঠি, ভোজপুরি মিলিয়ে প্রায় ৭৫টি ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই সংগীত পরিচালক। ১৯৪২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর নাগপুরে জন্ম হয় বিজয় পাতিলের। সংগীতের প্রথম পাঠ শিখেছিলেন বাবা ও চাচার কাছ থেকে। ছোট থেকে সংগীতের পরিবেশেই মানুষ হন তিনি। কিছুদিন আগে মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে ‘লতা মঙ্গেশকর অ্যাওয়ার্ড ফর লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট’ সম্মানে ভূষিত করা হয়। তাঁর মৃত্যুতে হিন্দি মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে একটি যুগের অবসান হলো।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত