মহাভারত গদ্য আকারে বাংলায় অনুবাদ করে বিনামূল্যে বিতরণ করেছিলেন কালীপ্রসন্ন সিংহ
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৩, ১৪:৫৯ | আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮
কালীপ্রসন্ন সিংহ ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক ও সমাজসেবক। বাংলা সাহিত্যে তার দুই অমর অবদানসমূহের জন্য চিরস্মরনীয় হয়ে আছেন। সেগুলো হল, বৃহত্তম মহাকাব্য মহাভারতের বাংলা অনুবাদ এবং তার বই হুতোম প্যাঁচার নক্শা। তিনি ঊনবিংশ শতকের একজন বাংলা-সাহিত্য আন্দোলনে অন্যতম একজন পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। মাত্র উনত্রিশ বছরের জীবনে তিনি সাহিত্য ও সমাজের উন্নয়নের জন্য অসংখ্য কাজ করেছেন। তিনি বিধবা বিবাহের একজন সমর্থক ছিলেন। বহু বিধবা দুখিনীর জীবন পরিবর্তন এর জন্য তিনি অকাতরে দান করেছেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর প্রিয় ছাত্র ছিলেন তিনি।
কালীপ্রসন্ন সিংহের সবথেকে বড় কীর্তি হল, তার সম্পাদনায় আঠারো পর্ব মহাভারত গদ্য আকারে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে, যা এখনও ব্যাপকভাবে পঠিত এবং প্রকাশিত হয়। পুরো প্রকল্পটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর দ্বারা পরিদর্শিত হয়। এই অনুবাদটি ১৮৫৮ থেকে ১৮৬৬ এর ভিতরে প্রকাশিত হয়েছিল। সমগ্র অনুবাদকরণ প্রক্রিয়াটি উত্তর কলকাতার বরানগরে অবস্থিত সারস্বতাশ্রম নামে একটি বাড়িতে সম্পন্ন হয়েছিল। কালীপ্রসন্ন বিনামূল্যে মহাভারত বিতরণ করেছিলেন। কালীপ্রসন্ন এই বিপুল খরচ বহন করতে তার বিভিন্ন মহল অর্থাৎ নিজস্ব মালিকানাধীন জমি বিক্রয় করে দিয়েছিলেন। তিনি তার রচিত মহাভারত অনুবাদটি মহারানী ভিক্টোরিয়া-কে উত্সর্গ করেছিলেন। তিনি পবিত্র হিন্দু ধর্মগ্রন্থ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-এর অনুবাদও করেছিলেন, যা তার মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়।
তার অনুবাদ নাটক রচনার প্রেরণা বা তাগিদ এসেছিল রঙ্গমঞ্চ থেকে। সমাজের বৈষয়িক অবস্থার সঙ্গে রঙ্গমঞ্চের বিলুপ্তি বা পুনরাবির্ভাবের ইতিহাসটি মিলিয়ে দেখলেই তা বোঝা যায়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত