ভারত থেকে ২৬৫৬ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে : নসরুল হামিদ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৩ |  আপডেট  : ১৮ মে ২০২৪, ১৪:৩৯

বর্তমানে ভারত থেকে ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।  

নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে দেশে ২৩ হাজার ১৫৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৪১টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত আছে। এছাড়া ভারত থেকে ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী মোট ১১ হাজার ৩০৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৮টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন এবং দরপত্র প্রক্রিয়াধীনের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে মোট ৯ হাজার ৮৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৩টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২৪ হতে ২০২৭ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে যথাক্রমে— মাতারবাড়ী, গাজীপুর, সৈয়দপুর, ঘোড়াশাল, ময়মনসিংহ, রূপসা, রামপাল, পটুয়াখালী, মেঘনাঘাট, কেরানীগঞ্জ ও চট্টগ্রামে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।

এছাড়া মোট ২ হাজার ২২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পাঁচটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে দরপত্র প্রক্রিয়াধীন বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২৬ হতে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে যথাক্রমে— ফেঞ্চুগঞ্জ, গজারিয়া, মিরসরাই, মেঘনাঘাট ও রাউজানে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।

সংসদ সদস্য মোছা. জান্নাত আরা হেনরীর এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, সরকার কর্তৃক জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস করে বিকল্প জ্বালানির উৎস হিসেবে সৌর বিদ্যুৎ প্রসারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ কার্যক্রমসমূহের ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন কর হয়েছে যার সম্মিলিত ক্ষমতা ৯৭১.৭০ মেগাওয়াট। উক্ত কার্যক্রমের আওতায় ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় যমুনা নদীর তীরে ৭.৬ মেগাওয়াট পিক ক্ষমতার একটি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে ; যা হতে ইতোমধ্যে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এছাড়া ৮৮.৭৫ মেগাওয়াট পিক ক্ষমতার আরও একটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। যার বাস্তবায়ন কাজ চলতি বছরের জুনে সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত রয়েছে।

 

সা/ই

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত