বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান বীর প্রতীক আর নেই
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০৯ | আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৪৫
জাতির সূর্যসন্তান, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মতিউর রহমান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে বার্ধক্য জনিত কারণে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুর আগে আলাপচারিতায় গ্রামনগর বার্তার এই প্রতিবেদককে মতিউর রহমান জানান, তিনি ১০ নম্বর সেক্টরের অধীনে নৌ-কমান্ডো ছিলেন। তাঁরা ভারত থেকে এসে পাকিস্তানি বাহিনীর জাহাজে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আবার ভারতে চলে যেতেন। তিনি সাফল্যের সঙ্গে তিনটি অপারেশনে অংশ নেন। তিনটি অপারেশনই ছিল নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে। প্রথমটি কাঁচপুর সেতুসংলগ্ন স্থানে। দ্বিতীয়টি নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল ঘাট এবং তৃতীয়টি গলাগাছিয়ায়। তিনি প্রথম অপারেশনে অংশ নেন অক্টোবরে। রাত দেড়টার দিকে শুরু করেন অপারেশন। তাঁদের দলে ছিলেন মোট পাঁচজন। সবার বুকে মাইন বাঁধা। ওই দিন রাতে তাঁরা কাঁচপুর সেতুর কাছে জাহাজে মাইন লাগিয়ে চলে আসেন। পরে সময়মতো মাইনটি বিস্ফোরিত হয়।
মতিউর রহমান ১৯৭১ সালে দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। মা-বাবাকে না বলেই মে মাসের কোনো একদিন তিনি ভারতে চলে যান। ভারতীয় নৌবাহিনীতে তিনি তিন মাস প্রশিক্ষণ নেন। যুদ্ধে তাঁর দায়িত্ব ছিল মাইন দিয়ে জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়া।
যুদ্ধ শেষে মতিউর আবার স্কুলে ভর্তি হন। এসএসসি পাস করে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীতে ভর্তি হলেও শেষ পর্যন্ত পাস করা হয়নি। পরে তিনি ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। এর আয় দিয়েই তাঁর দিন চলতে থাকে। মতিউর রহমান পরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারেন যে তিনি সত্যিই ‘বীর প্রতীক’ খেতাব পেয়েছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের সাতঘড়িয়া গ্রামের অধিবাসী।
গ্রামনগর বার্তা/ কাআ
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত