বিশ্বের সবচেয়ে ফলপ্রসূ সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক- বাইডেন
প্রকাশ: ৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৯ | আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:৫৭
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ফোনালাপ করেছেন। গত বছরের নভেম্বরে বৈঠকের পর মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বাইডেনের অনুরোধে এই ফোনালাপে অংশ নেন জিনপিং। এ সময় তারা তাইওয়ানসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফোনালাপে দুই রাষ্ট্রপ্রধান আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক ও দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন। তবে বাইডেন তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও দক্ষিণ চীন সাগরে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সব পক্ষের অবাধ যাতায়াত নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দুই নেতা ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে রাশিয়াকে চীনের সমর্থন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়া তারা বাণিজ্যিক চর্চা, উইঘুরে মানবাধিকার লঙ্ঘন, হংকং ও কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক শক্তির প্রভাব থেকে মুক্ত করা নিয়ে কথা বলেন।
এসময় বাইডেন যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ককে বিশ্বের সবচেয়ে ফলপ্রসূ সম্পর্ক বলেও উল্লেখ করেন। আলাপকালে তিনি গত বছরের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোয় অনুষ্ঠিত তার ও শি’র মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই দেশের সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ফোনালাপে শি জিনপিং বলেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে। উভয় দেশের মানুষ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে নেতিবাচক দিকগুলোও বিস্তৃতি লাভ করছে। এসব বিষয় সমাধানে উভয় পক্ষেরই উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। দুই দেশের উচিত সম্মানের সঙ্গে সহাবস্থান করা এবং একটি উইন-উইন পরিস্থিতি তৈরি করা।
শি জিনপিং বলেন, তাইওয়ান ইস্যু চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক স্থিতিশীল হওয়ার পথে প্রথম বাধা বা বিপৎসীমা। যুক্তরাষ্ট্রের সেই সীমা অতিক্রম করা উচিত হবে না। তার মতে, তাইওয়ানের স্বাধীনতা এক ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা। যদি কোনো বাহ্যিক শক্তি তাইওয়ানকে এই কথিত স্বাধীনতা অর্জনে উৎসাহ বা সমর্থন দেয়, তাহলে চীন হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।
সান
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত