বিএনপির পরবর্তী পরিকল্পনা যেভাবেই হোক দুর্ভিক্ষ ঘটানো: প্রধানমন্ত্রী  

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:৩২ |  আপডেট  : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:২৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি কীভাবে নির্বাচন করবে? তাদের নেতা কে? তাদের কোন নেতা নেই। বিএনপি চিন্তা করেছিল নির্বাচন হবে না। এখন নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। এক সময় বলেছিল নির্বাচন হতে দেবে না। উস্কানি আছে যে, নির্বাচন ঠেকাও। নির্বাচনের সিডিউল হয়ে গেছে। এখন তারা মনে করছে নির্বাচন হয়েই যাবে। তাই তারা মার্চ মাসের দিকে দেশের এমন অবস্থা করবে, দুর্ভিক্ষ ঘটাবে। এটা হচ্ছে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা। এটা শুধু দেশের নয়, বাইরের দেশেরও পরিকল্পনা আছে। যেভাবেই হোক দুর্ভিক্ষ ঘটাতে হবে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুই দিনের গোপালগঞ্জ সফরের দ্বিতীয় দিনে নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যারা আগুন দিতে যাবে, তাদেরকে ধরে পুলিশের সোপর্দ করতে হবে। প্রত্যন্ত এলাকায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যদি আগুন সন্ত্রাসী বেশি হয়, তাহলে তাদের আগুনেই ফেলে দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মা, বাবা, ভাই-বোন সবাইকে হারিয়েছি। আপনাদের ভালবাসা, আপনাদের আস্থা, বিশ্বাস সবচেয়ে বড় পাওয়া। যাদের নমিনেশন দিয়েছি তারা আসন পায় একটি। আমার হলো ৩০০ আসনের দায়িত্ব। তাই আমি বলতে পারি আমার মত সৌভাগ্য কারো নেই। আমার এলাকা নিয়ে ভাবতে হয় না, চিন্তাও করতে হয় না যেটা আপনারা করেন। আমি জানি না আর কোন প্রার্থী সৌভাগ্যবান কিনা, যতটা আমি। একটা দায়মুক্ত করে রেখেছেন। আমি স্বাধীনভাবে সারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য চিন্তা করতে পারি, কাজ করতে পারি যার সুফলটা সবাই পায়।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখনও তারা জ্বালাও-পোড়াও করছে। এদের শিক্ষাটা বোধহয় ইসরায়েলের কাছ থেকে, যারা প্যালেস্টাইনের ওপর আক্রমণ করছে। নিজেরাই ক্ষমতায় থেকে সমানে অর্থ কামিয়েছে। অর্থ সম্পদের পাহাড় গড়েছে। কিন্তু এরা মানুষকে কোনও দিন শান্তিতে থাকতে দেবে না। এটাই তাদের চরিত্র।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, এখন তারা নির্বাচন করবে না। ২০১৪ সালে একই কথা বলেছিল। আসলে তারা নির্বাচন করবে কীভাবে। বাস্তব কথাটা কী? বাস্তব হলো ২০০৮ সালের নির্বাচন। এ নির্বাচন নিয়ে তো কেউ কোনও প্রশ্ন তোলে না। কারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিল।

এদিন সকাল পৌনে ১০টার দিকে কোটালীপাড়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে সেখানে থেকে ফিরে যান টুঙ্গিপাড়ায়।

এ সভায় আগামী নির্বাচন নিয়ে নানা ধরণের দিক-নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। এ সময় শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল ও শেখ সারহান নাসেন তন্ময় এবং কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত