বাগেরহাটে আগুনে ব্যবসায়ীর বসতঘর ভস্মিভূত
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২২, ২০:১১ | আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪৭
বাগেরহাটের কচুয়ায় আগুন লেগে মফিজুল ইসলাম (৬০) নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর বসত ঘর ভস্মিভূত হয়েছে। আগুনে কাঠের ঘর ও ঘরে থাকা নগদ টাকা, কাপড়, খাদ্য সামগ্রী, ফ্রিজ, মটরসহ সব মালামাল পুড়ে গেছে। তবে কেউ বাড়িতে না থাকায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার সময় কচুয়া উপজেলার সাইনবোর্ড বাজার সংলগ্ন চান্দেরখোলা গ্রামের মফিজুল ইসলামের বাড়িতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীর। তবে কিভাবে আগুন লাগল সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি।
ক্ষতিগ্রস্থ মফিজুল ইসলাম চান্দেরখোলা গ্রামের সলিমউদ্দিন মিয়ার ছেলে। সাইনবোর্ড বাজারে তার ফলের দোকান রয়েছে।
মফিজুল ইসলাম বলেন, নাতনী অসুস্থ্য থাকায় আমার স্ত্রী রামপাল উপজেলার ফয়লা ছিল। আমি সকালে ঘর তালা দিয়ে দোকানে যাই। ১১টার সময় এক প্রতিবেশী ফোন করে জানায় ঘরে আগুন লেগেছে। দ্রুত বাড়িতে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। স্থানীয়রাও আমার সাথে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছেন। প্রায় আধাঘন্টার চেষ্টায় আমরা আগুন নেভাতে সক্ষম হই। কিন্তু ততক্ষনে আমার ঘরের সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
মফিজুল আরও বলেন, আগুনে আমার সব শেষ করে দিয়েছে। ঘরের ফ্রিজ, মটর, ডায়নিং টেবিল, আমাদের কাপড় চোপর, খাট, ছেলের ল্যাপটপ ও নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ সব পুড়ে গেছে। খাবার চাল, হাড়ি কড়াইও পুড়ে ছাই হয়েছে। পড়নের জামা ও লুঙ্গি ছাড়া আমার আর কিছু নেই। রাতে খাব, সেই পরিস্থিতিও নেই আমার। আল্লাহ‘র কাছে সাহায্য চাওয়া ছাড়া আমার আর কিছুই করার নেই।
মফিজুল ইসলামের স্ত্রী মোসাঃ মরিয়ম বেগম বলেন, নাতীর সিজারের জন্য আমি রামপালে ছিলাম। এদিকে আমার কি সর্বনাষ হয়ে গেল। এখন কোথায় থাকব, কি খাব, কি করব আমরা।
সাইনবোর্ড বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণুপদ দেবনাথ বলেন, মফিজুল ইসলাম একজন হতদরিদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। আগুনে তার বসত ঘরসহ সবকিছু পুড়ে গেছে। গরীব মানুষের সব অর্জন থাকে ঘরের মধ্যে। সেই ঘর পুড়লে আর কিছু থাকে না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত মহল।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত