মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকেনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক

‘বাংলাদেশে শান্তি-স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের লাভ’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৩, ১১:১১ |  আপডেট  : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪

ছবি : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকেনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক

বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলিতা বজায় থাকলে যুক্তরাষ্ট্রেরই লাভ বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ওয়াশিংটনে সোমবার [বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে] মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকেনের সঙ্গে বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। 

বৈঠকের আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা (বৈঠকে) একটি ইস্যু তুলেছি। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক তহবিল আছে, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স, কিন্তু আমরা সেগুলো পাই না। এটি যেন যুক্তরাষ্ট্র বিবেচনা করে এবং আমরা যেন পাই। তারা জানিয়েছে— যে এখানে শ্রম ইস্যু আছে। আমরা তাদের জানিয়েছি যে, আমরা শ্রমের বিষয়ে দুটি কমিটি করেছি...এগুলো কাজ করছে। আমরা শ্রম পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক উন্নত করেছি।‘

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বৈঠকে ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টির বিষয়টি মার্কিনিরা তুলেছেন। আমরা বলেছি— আমরা এখনও স্বল্পোন্নত দেশ। ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি উন্নয়নশীল ও শিল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য। আমরা ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে যাবো। এছাড়া আমরা এই সুবিধা ২০২৯ সাল পর্যন্ত তো পাচ্ছি।’

বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল​​​​


‘বাক স্বাধীনতা’

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের বাক স্বাধীনতা ও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলেছি— আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করেছি বাক স্বাধীনতা হরণ করার জন্য নয়। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। আমাদের দেশে ১ হাজার ২৪১টি দৈনিক পত্রিকা বের হয়, ৪৩টি টিভি চ্যানেল আছে এবং তারা হাইপার অ্যাকটিভ।’

বাংলাদেশে বিরোধী দল যখন-তখন বিক্ষোভ করতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে আমরা সতর্ক। বিক্ষোভ করতে আমাদের আপত্তি নেই। আলোচনা-সমালোনাতেও আমাদের আপত্তি নেই। তবে এখানে সম্পদ ও সম্পত্তি কেউ ক্ষতি করলে আমরা শাস্তি দেবো।’

‘সংখ্যালঘু’ প্রসঙ্গ

সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনও নির্যাতনে ক্ষেত্রে সরকার অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়। এটি হিন্দু সম্প্রদায়, নাকি আহমেদিয়া সম্প্রদায়; সেটি বিষয় নয়। এসব ক্ষেত্রে সরকার চায় সবাই মিলেমিশে থাকতে।’

‘বাংলাদেশে কিছু লোক আছে, যারা সংখ্যালঘুদের দেখতে পারে না, ঝামেলা করতে চায়’ বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘কিন্তু সরকার এ বিষয়ে অনেক কঠোর।’
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত