বাংলাদেশের পণ্যের বাজার ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে ট্যারিফ পলিসি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৩, ১০:৩১ |  আপডেট  : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১১

সোমবার (১৭ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

সভাশেষে বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
 
তিনি বলেন, জাতীয় ট্যারিফ নীতি-২০২৩-এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আমাদের ট্যারিফ কমিশন আছে। তারা এ সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে থাকে। আগে এই পরামর্শ প্রক্রিয়ায় আমাদের নির্দিষ্ট কোনো নীতি ছিল না। এতদিন সরকারের বাণিজ্যনীতি, রফতানি নীতি, শিল্পনীতি বা আমদানি নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ট্যারিফ নির্ধারণের ক্ষেত্রে ট্যারিফ কমিশন পরামর্শ দিয়েছে।’
 
সোমবার (১৭ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ট্যারিফ নীতির খসড়া উপস্থাপন করা হয় উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মূলত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বা বাজারে বাংলাদেশি পণ্য যেন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে, তা নিশ্চিত করতেই এই নীতি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এই নীতি বাংলাদেশি পণ্যের বাজার তৈরিতেও সহায়তা করতে পারে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই ট্যারিফ নীতির একটি রোপম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। আজ এই নীতির খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি বাংলাদেশে প্রথম করা হলো।
 
ট্যারিফ পলিসির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তোরণ করতে যাচ্ছি। এখন আমরা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যে সুযোগ-সুবিধা পাই, সেটি ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। তারপর সরাসরি প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে হবে। তখন বাজার ধরে রাখতে এবং বাজার সম্প্রসারণ করতে চাইলে আমাদের এখন যে ট্যারিফ কাঠামো আছে, সে কাঠামোতে কিছু সংযোজনের প্রয়োজন আছে।’
 
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, সে জন্য একটি সুপারিশমালা তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এই বিধিমালার ভিত্তিতে আমরা শুল্ক ও কর কাঠামোয় ধাপে ধাপে অগ্রসর হব।’
 
এখানে কয়েকটি বিষয়ে নজরে আনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাণিজ্য উদারীকরণ, ট্যারিফ কাঠামো যুক্ত করার মাধ্যমে দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি, রফতানি সম্প্রসারণ, বহুমুখীকরণ, বিনিয়োগে উৎসাহীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও টেকসই অর্থনীতি অর্জনের লক্ষ্য সামনে রেখে এই ট্যারিফ পলিসি তৈরি করা হয়েছে।
 
 তিনি আরও বলেন, ট্যারিফ পলিসিতে ১৭টির মতো নীতি রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নেতৃত্বে একটি মনিটরিং ও অডিট কমিটি করা হয়েছে। সেই ১৬ সদস্যের কমিটিতে একজন সচিব, দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) একজন্য সদস্য ও ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যানও রয়েছেন। তারা এই মনিটরিং কাজটি করবেন।
 
আমদানি-রফতানি পর্যায়ে আরোপিত ট্যারিফকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ট্যারিফ হিসেবে গণ্য করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুল্ক কাঠামো সহজীকরণ ও অপ্রয়োজনীয় জটিলতা নিরসনের উদ্দেশ্যে সমজাতীয় পণ্যে শুল্ককর যথাসম্ভব সমান রাখার মধ্য দিয়ে শুল্ক ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনতে হবে। ট্যারিফ নীতিতে এমনটিই রয়েছে।
 
তিনি জানান, ভোক্তার কল্যাণার্থে আমদানি পর্যায়ে আরোপিত ট্যারিফ ধাপে ধাপে যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনতে হবে। শুল্ক রেয়াত পরিহার করতে হবে। দেশীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে শুল্ক প্রতিরক্ষা হার ধাপে ধাপে কমাতে হবে।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত