বরগুনায় যুবকের আত্মহত্যা

প্রকাশ: ৫ জুন ২০২৫, ২২:২৫ | আপডেট : ৭ জুন ২০২৫, ০০:৪৬

বরগুনায় ওমর ফারুক (৪০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটায় বরগুনা পৌর শহরের আমতলা রোডস্থ ঠিকাদার ফরহাদ জমাদ্দারের ভাড়া বাসা থেকে গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে বরগুনা সদর থানার পুলিশ। ওমর ফারুক বরগুনার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনয়নের ইসমাইল মিস্ত্রির ছেলে। তিন সন্তানের পিতা ওমর ফারুক ছিলেন পেশায় টমটম চালক।
নিহত ওমর ফারুকের স্ত্রী ময়না জানান, রাত ৩টা পর্যন্ত সে তার স্বামীর সাথেই বারান্দায় শুয়ে ছিলেন। গরম লাগার কারণে সে ঘরের ভিতরের বিছানায় বাচ্চার সাথে এসে ঘমিয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার স্বামী ফারুক বিবস্ত্র অবস্থায় দড়ির সাথে ঝুলছে। তিনি এসে তার ওড়না জড়িয়ে আশে পাশের লোকজনদের ডাকা ডাকি করেন প্রতিবেশিরা এসে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ফারুকের ঝুলন্ত লাশটি নামান। ধীরে ধীরে খবরটি স্বজনদের কাছে পৌঁছে গেলে আত্মীয়স্বজনরা এসে হাজির হলে বাসা জুড়ে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্বজনদের কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। ফারুকের লাশের কাছাকাছি থেকে একটি ডায়রি উদ্ধার করেন। এরপর ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ লাশটি মর্গে নিয়ে যান।
নিহতের ভগ্নিপতি আবুল হোসেন জানান, প্রায় পনেরো ষোলো বছর পূর্বে ফারুক আমতলীর কচুপাত্র ইউনিয়নের মোশারেফ মুন্সির মেয়ে ময়নাকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে রয়েছে তিনটি কন্যাসন্তান। শ্যালক ফারুক পরকিয়া করতো এই সন্দেহে তার স্ত্রী ময়না ফারুকের সাথে বিবাদ করতো। পারিবারিক কলহের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, ফারুক আত্মহত্যা করতে পারে না। ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে কেউ বলতে পারবে না এটা আত্মহত্যা। এটা ওর স্ত্রী করেছে অথবা কোনো লোক দিয়ে ফারুককে হত্যা করা হয়েছে।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, প্রাথমিক দৃষ্টিতে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে ময়না তদন্তের পরে নিশ্চিত হওয়া যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। উদ্ধারকৃত ডায়েরি সম্পর্ক তিনি বলেন, ডায়েরিতে আত্মহত্যার কথা কিছু লেখা নেই তবে কষ্টের কথা লেখা আছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত