বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৬ জনের
প্রকাশ: ২ মে ২০২৪, ১৭:৪৪ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:৩১
বজ্রাঘাতে তিন জেলায় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন নয় জন। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাঙ্গামাটির দুই উপজেলায় তিনজন, কক্সবাজারের পেকুয়ায় দুইজন ও খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় একজনের মৃত্যু হয়।
রাঙামাটি জেলায় বজ্রাঘাতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন– রাঙামাটি সদরের সিলেটিপাড়ার বাসিন্দা মো. নজির (৫০), বাঘাইছড়ি উপজেলার বাহারজান বেগম (৫৫) এবং সাজেকের লংথিয়ানপাড়ার তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭)। জেলার বাঘাইছড়ির বড়াদম গ্রামে স্বপন চাকমার দোকানে বজ্রাঘাতে সাত জন আহত হয়েছেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার জানান, উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক গ্রামে গরু নিয়ে বের হওয়ার সময় বজ্রাঘাতে বাহারজান বেগম নামে একজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সাজেকের লংথিয়ানপাড়ার তনিবালা ত্রিপুরা নামে আরও একজন বজ্রাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. শওকত আকবর জানান, বজ্রাঘাতে আহত মো. নজির নামে এক ব্যক্তিকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
কক্সবাজার জেলার পেকুয়ায় বজ্রাঘাতে দুই লবণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সকালে পেকুয়া উপজেলার মগনামা ও রাজাখালী ইউনিয়নে লবণের মাঠে পৃথক ঘটনায় তাদের মৃত্যু ঘটে। মৃত দুজন হলেন– উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কোদাইল্যাদিয়া এলাকার জমির উদ্দিনের ছেলে দিদারুল ইসলাম (৩০) এবং রাজাখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ছরিপাড়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. আরাফাত (১২)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে বৃষ্টি শুরু হলে ওই দুই শ্রমিক লবণ তুলতে মাঠে ছুটে যান। এ সময় ঘন ঘন বজ্রপাত হচ্ছিল। একপর্যায়ে বজ্রাঘাতে লবণের মাঠে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেটের কানাইঘাটে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রাঘাতে বাবুল আহমদ (৪৮) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরও দুই কৃষক গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার দিঘীরপাড় পূর্ব ইউনিয়নের শফিক হাওরে এ ঘটনা ঘটে। মৃত বাবুল কানাইঘটের দক্ষিণ কুয়রের মাটি এলাকার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে। এ সময় বজ্রাঘাতে ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন বাবুলের ভাতিজা ফাহিম আহমদ (১৭) এবং মানিকপুর গ্রামের বাবু বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (২০)।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাবুল আহমদসহ কয়েকজন স্থানীয় শফিক হাওরে বোরো ধান কাটতে যান। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত হন তারা। এ সময় আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুল আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন। ঝলসে যাওয়া দুজনকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত