বঙ্গবন্ধুর চিন ভ্রমণ এবং পিকাসোর চিত্রকর্ম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২২, ১২:২৪ |  আপডেট  : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬

পাবলো পিকাসো

বিংশ শতাব্দীতে চিত্রকর্মের নতুন ধারার সৃষ্টি হয়েছিল। যেখানে নিখুত ছবি আঁকার প্রবণতা ব্যাপক হারে জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু শিল্পকর্ম যেহেতু মনের ভাবের বহিপ্রকাশ তাই শিল্পকর্মের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করা মূখ্য মনে করলেন এক শিল্পী। আসল ফণ্ট ভেঙে নতুন রূপ দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এরপর থেকে কিউবিসম ধারর শুরু হয়। তিনি পাবলো রুইজ ই পিকাসো [২৫ অক্টোবর ১৮৮১ – ৮ এপ্রিল ১৯৭৩]। তার সমসাময়িক অনেকেই কিউবিসম চর্চা শুরু করেছিলেন। তবে তাদের মধ্য পিকাসো অন্যতম। 

পাবলো পিকাসো হিসেবে পরিচিত, ছিলেন একজন স্প্যানিশ চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, প্রিন্টমেকার, মৃৎশিল্পী, মঞ্চ নকশাকারী, কবি এবং নাট্যকার। বিংশ শতাব্দীর একজন বিখ্যাত এবং অত্যন্ত প্রভাবশালী শিল্পী হিসেবে তিনি কিউবিস্ট আন্দোলনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, গঠনকৃত ভাস্কর্যের উদ্ভাবন, কোলাজের সহ-উদ্ভাবন, এবং চিত্রশৈলীর বিস্তৃত ভিন্নতার কারণে অধিক পরিচিতি লাভ করেন। তার বিখ্যাত কাজের মধ্যে রয়েছে প্রোটো-কিউবিস্ট লেই দেমোয়াজেল দে'ভিনিয়োঁ [১৯০৭] এবং স্পেনের গৃহ যুদ্ধের বিরুদ্ধে আঁকা গের্নিকা [১৯৩৭]।

গোর্নিকা

পিকাসো, হেনরি মাতিসে এবং মার্সেল ডচাম্প এই তিনজন শিল্পী ২০শ শতাব্দীর শুরুতে প্লাস্টিক আর্টে বৈপ্লবীয় উন্নতি সাধনের মাধ্যমে চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য, প্রিন্টমেকিং এবং মৃৎশিল্পে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটান। পিকাসো ২০শ শতাব্দীর শিল্পে একজন শ্রেষ্ঠ-পরিচিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।

১৮৯০ সালের পূর্বে বাবার অধীনে পিকাসোর প্রশিক্ষণ শুরু হয়। তার সে সময়কার অগ্রগতি ফুটে উঠে বার্সেলোনায় মুইজিও পিকাসোতে সংগৃহীত চিত্রকর্মগুলোতে। জাদুঘরটি যে কোন প্রধান শিল্পীর প্রারম্ভিক কাজের সংগ্রহের জন্য প্রখ্যাত।

১৯৫২ সালের ২-১২ই অক্টোবরে গণচীনের পিকিংয়ে এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করা হয় যেখানে ভারত ও পাকিস্তানের ডেলিগেটরাও অংশ নেন। সেই সম্মেলনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশ থেকে শেখ মুজিব ছাড়াও আতাউর রহমান, মানিক মিয়া, খন্দকার মো. ইলিয়াসসহ বেশ কয়েকজন অংশগ্রহণ করেন। এটি শেখ মুজিবের প্রথম চীন সফর। এই সফরে চীনের অবিসংবাদিত নেতা মাও সে তুং এর সঙ্গে শেখ মুজিবর রহমানের দেখা হয়। সেই শান্তি সম্মেলনের প্রতীকী শান্তির দূত অংকন করেন সেটি শান্তি সম্মেলনের লোগো হিসাবে ব্যবহার হয়। 

গণচীন ভ্রমণের অভিজ্ঞতার আলোকে শেখ মুজিবুর রহমানের অভিজ্ঞতাগুলো জেলে থাকা অবস্থায় ডাইরিতে লিপিবদ্ধ করেন। ২০২০ সালে বাংলা একাডেমি একুশে গ্রন্থমেলায় এই ডাইরির লেখা বই আকারে প্রকাশ করে। বইটির নাম আমার দেখা নয়াচীন। বইটির প্রচ্ছদ ছিল সেই পিকাসোর আকা শান্তির দূত।

আমার দেখা নয়াচিন প্রচ্ছদ

২০১৫ সালের ১১ই মে স্পেনের কিংবদন্তি চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর আঁকা 'উইমেন অব আলজিয়ার্স' ছবিটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি শিল্পিকর্মে পরিণত হয়েছিল । নিলামে চিত্রকর্মটি রেকর্ড ১৭ কোটি ৯৩ লাখ ৬৫ হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছিল । বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা । পিকাসোর এ তৈলচিত্রটিতে উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার করা হয়েছিল । এতে পিকাসোয় সুপরিচিত কিউবিক ধারায় ছাপ রয়েছে । নগ্ন এক রমণীকে সেখানে দেখা গেছে । এটি পিকাসোর ১৫টি শিল্পকর্মের একটি সিরিজের অংশ।

উইমেন অব আলজিয়ার্স

তার আত্মপ্রতিকৃ্তি সহ অনেক বিখ্যাত চিত্রকর্ম রয়েছে। 

আত্মপ্রতিকৃতি


 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত