ফাল্গুন সুহিতা -সুলতানা
প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০১ | আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫১
ফাল্গুন
সুহিতা সুলতানা
ফাল্গুনের সূচনালগ্নে মানুষের প্রেমহীন
চোখের বৈপরীত্য
মুহূর্তকে ম্লান করে দেয়। যাকে বিশ্বাসের
সূচক দেখাবে সে
নিশ্চিতভাবে তোমাকে অন্ধ করে দেবে!
এরকম গুঞ্জরিত
দিনে নেশার ভঙ্গিমা সহস্র বিকেল
তছনছ করে দেয়।
এত কূট-কৌশল এত লোক দেখানো
অবিশ্রান্ত দুপুর নিষ্ক্রিয়
করে যারা রঞ্জিত হতে চায় তারা
বর্ণমালার আলোকিত
রূপ দেখেনি। অলক্ষ্যে কে তুমি? আমার
পঙক্তিমালা
রক্তাক্ত করো? যখন ভাবি,সঞ্চিত
অক্ষরসমূহ অ্যাপলের
স্পর্শে উচ্ছ্বাসের বদলে উৎকণ্ঠা নিয়ে
আসে তখন সব
অপেক্ষা-মায়া,প্রেম অমীমাংসিত
বিষাদের ভঙ্গিমায় মুদ্রিত
হতে থাকে।
যে তিলোত্তমা নগর মাথায়
তুলে তন্দ্রাহীন
নাগরিক হতে চায় সে নৈকট্য বোঝে
না,পতনের গাঢ়
সমারোহ বোঝে! আলোর তরঙ্গে বিভ্রম
ঝুলিয়ে দিলে
চেনা পথও অচেনা হয়ে যায়। জন্মভূমির
মায়া আমাকে রঙিন শহর থেকে
অসত্যের পাঠ থেকে ব্যাখ্যা যোগ্য নয়
এমন সব ধূসর পালক অশিল্পের দাহ
হয়ে পুড়িয়ে দেয় অন্তর।এসময় খুব
নীরবতা যতিচিহ্নহীন আশ্চর্য আখ্যান
নিগূঢ় হাওয়ায় উড়ে উড়ে বিনাশ দ্যাখে !
দ্রোহ ও মাধুর্য
ক্লেদাক্ত শীতের জঙ্ঘায় বসন্তের অনুভব
অনিশ্চিত করে দেয়।
নিশ্চিত করে বলা যায় না
তন্দ্রার অপাঠ্য দাহ কতটা
নির্ভার!
সান
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত