ফাঁসি কার্যকর হওয়া মামলার আদেশ পেছালো আপিল বিভাগ
প্রকাশ: ৯ নভেম্বর ২০২১, ১১:২৬ | আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১২
চুয়াডাঙ্গার ফাঁসি কার্যকর হওয়া মোকিম ও ঝড়ুর মামলার আদেশ পেছালো আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এ রায় পেছানো হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার (৮ নভেম্বর) মোকিম ও ঝড়ু নামের দুই আসামির দুটি আপিল আবেদনের একটি নিষ্পত্তি করে রায় কার্যকর করা হলেও অপর আপিল আবেদন ঝুঁলে থাকার পেছনে দায় থাকলে তা আইনজীবীর (আসামিপক্ষের) বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। অপরদিকে দুই আসামির আপিল আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আসিফ হাসান।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালের ২৮ জুন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সাবেক ইউপি সদস্য মো. মনোয়ার হোসেন খুন হন। ওই ঘটনায় তার চাচাতো ভাই মো. অহিমউদ্দিন বাদী হয়ে ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার এজাহারে মোকিম ও ঝড়ুর নাম আসে। পরে ২০০৮ সালের ১৭ এপ্রিল এ মামলার বিচারে তিন জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ, দুই জনকে যাবজ্জীবন ও অপর আসামিদের খালাস দেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-২। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— একই ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, মোকিম ও ঝড়ু।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুসারে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য মামলাটি হাইকোর্টে আসে। মামলার ডেথ রেফারেন্স নম্বর ছিলো ৩৯/২০০৮। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মোকিম ও ঝড়ুর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে ২০১৩ সালের ৭ জুলাই ও ৮ জুলাই মামলার রায় ঘোষণা করেন। বাকি আসামিদের খালাস দেন হাইকোর্ট।
পরে মোকিম (আপিল নং- ১১১/২০১৩) ও ঝড়ু (আপিল নং- ১০৭/২০১৩) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল (জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল) দায়ের করেন। তবে নিয়ম অনুসারে দুটি আপিল একসঙ্গে ট্যাগ না হওয়ায় শুধু জেল আপিল নিষ্পত্তি করে ২০১৭ সালে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রায় ৪ বছর পর অপর মামলাটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় উঠলে আপিল নিষ্পত্তির আগেই দুই আসামিকে ফাঁসি দেওয়া নিয়ে আলোচনা ওঠে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত