প্রজ্ঞাপনে নির্ধারিত হল শোক দিবসে পতাকা অর্ধনমিত রাখার পরিমাপ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৩, ১১:৫০ |  আপডেট  : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৫২

বিভিন্ন জাতীয় দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার বাধ্যবাধকতা হয়েছে। তবে অর্ধনমিত বলতে কতটা অর্ধনমিত করতে হবে, সেটি নির্ধারণ করা ছিল না। বিষয়টি নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তও ছিল।

বুধবার (৯ আগস্ট) সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২’ সংশোধন এনে অর্ধনমিতকরণের পরিমাণ নির্ধারণ করেছে। এ ক্ষেত্রে পতাকা দণ্ডের ওপর থেকে চার ভাগের এক ভাগ নিচে নামিয়ে ওড়াতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বিধিমালার বিধি-৭-এর ১২ অনুচ্ছেদের পরিবর্তে নতুন ১২ অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপিত হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

নতুন ১২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, অর্ধনমিত রাখার ক্ষেত্রে পতাকা প্রথমে পতাকাদণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উত্তোলন করতে হবে। এরপর পতাকা দণ্ডের এক-চতুর্থাংশের দৈর্ঘ্যের সমান নিচে নামিয়ে পতাকাটি স্থাপন করতে হবে। ওই দিবসে পতাকা নামানোর সময় ফের পতাকা দণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উত্তোলন করা হবে, এরপর নামাতে হবে।

বিধিমালায় উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, পতাকা দণ্ডের দৈর্ঘ্য ২৮ ফুট হলে তা ৭ নামিয়ে ওপর থেকে ওড়াতে হবে। অর্থাৎ পতাকা আর দণ্ডের শীর্ষ ও পতাকার শীর্ষের মধ্যকার দূরত্ব হবে ৭ ফুট। আগের বিধিমালার ১২ অনুচ্ছেদে অর্ধনমিত রাখার নিয়ম উল্লেখ ছিল। তবে কতটা নিচে নামিয়ে ওড়াতে হবে, সেটি বলা ছিল না।

একাধিক সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বেশির ভাগ দফতরেই আগের বিধিমালা অনুযায়ী অর্ধনমিতকরণের জন্য পতাকা প্রথমে সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠিয়ে এক প্রস্থ পরিমাণ নিচে নামিয়ে ওড়াতেন। এ ধরনের মৌখিক নির্দেশনা তারা বিভিন্ন সময়ের জেনেছেন বলেও উল্লেখ করেন।

পতাকা বিধিমালা অনুযায়ী ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও এবং সরকারি প্রজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষিত অন্য কোনও দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত